
ইসরায়েলি চ্যানেল টোয়েলভে গত রোববার প্রচারিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরব ইসরায়েলকে একটি গোপন বার্তা পাঠিয়েছে। এতে সতর্ক করা হয়েছে, জর্ডান উপত্যকাসহ অধিকৃত পশ্চিমতীরের যে কোনো ভূখণ্ড দখল করার পদক্ষেপ নিলে আরব রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলের স্বাভাবিকীকরণ প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাবে এবং তথাকথিত আব্রাহাম চুক্তি প্রভাবিত হতে পারে। চ্যানেলটি জানিয়েছে, অত্যন্ত সংবেদনশীল এ বার্তায় আরও সতর্ক করা হয়েছে, ভূখণ্ড দখলের ফলে ‘আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়ার মতো’ অর্থনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। ইসরায়েলের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম কান ইলেভেন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ঘনিষ্ঠ এক সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, ‘জর্ডান উপত্যকায় সার্বভৌমত্ব প্রয়োগের বিষয়টি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।’
চ্যানেলগুলো কূটনৈতিক সূত্রের বরাতে বলেছে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও সম্প্রতি তার সফরের সময় এ বিষয়ে এগিয়ে যাওয়ার জন্য ‘সবুজ সংকেত’ দিয়েছেন এবং নেতানিয়াহু ও ট্রাম্পের বৈঠকের পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে। চ্যানেল টোয়েলভ জানিয়েছে, সিনিয়র ইউরোপীয় কর্মকর্তারা তাদের ইসরায়েলি প্রতিপক্ষদের সতর্ক করেছেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে ক্রমবর্ধমান স্বীকৃতির মধ্যে ভূমি দখলের যে কোনো প্রচেষ্টা মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি চুক্তিগুলো ধ্বংস করে দিতে পারে। সৌদি আরবের এ সতর্কবার্তা এমন এক সময়ে এসেছে, যখন বেশ কয়েকটি পশ্চিমা দেশের ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়ার প্রেক্ষাপটে যেকোনো ভূখণ্ড দখলের পদক্ষেপ ইসরায়েলকে কূটনৈতিকভাবে কোণঠাসা করেছে।
এর আগে রয়টার্স জানায়, আবুধাবির অভ্যন্তরীণ আলোচনা সম্পর্কে অবহিত তিনজন ব্যক্তি তাদের জানিয়েছেন, যদি নেতানিয়াহুর সরকার অধিকৃত পশ্চিমতীরের পুরোটা বা কিছু অংশ দখল করার প্রক্রিয়া এগিয়ে নেয়, তাহলে সংযুক্ত আরব আমিরাত ইসরায়েলের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক অবনমনের কথা বিবেচনা করছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত হলো কয়েকটি আরব রাষ্ট্রের একটি, যারা ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছে। সূত্রগুলো ইঙ্গিত দিয়েছে, যদিও সম্পূর্ণরূপে সম্পর্ক ছিন্ন করার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে না, তবে আব্রাহাম চুক্তিতে উপনীত দেশগুলোর রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করার মতো পদক্ষেপ আলোচনায় রয়েছে।