ঢাকা শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

‘অপরাধ বন্ধ করাই শেষ কথা নয়, অপরাধীর বিচার করতে হবে’

‘অপরাধ বন্ধ করাই শেষ কথা নয়, অপরাধীর বিচার করতে হবে’

‘গাজায় অপরাধ বন্ধ করাই শেষ কথা নয়, অপরাধীদের বিচার করতে হবে’ বলে দাবি জানিয়েছেন ইরান সরকারের মুখপাত্র ফাতেমেহ মোহাজেরানি। তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি তেহরানের সমর্থন ‘কেবল রাজনৈতিক অবস্থান নয় বরং ‘জাতিগুলোর নিজস্ব ভাগ্য নির্ধারণের অধিকার’ এবং নিপীড়ন ও দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের প্রতি গভীর বিশ্বাস থেকে উদ্ভূত’।

গতকাল শুক্রবার লেবাননের আল-মায়াদিন টেলিভিশনে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে মোহাজেরানি জোর দিয়ে বলেন, গাজায় গণহত্যা বন্ধ, ইসরাইলি দখলদার বাহিনীর প্রত্যাহার, মানবিক সহায়তা প্রবেশ, ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি এবং ফিলিস্তিনিদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে সহায়ক-এমন যেকোনো পদক্ষেপ বা উদ্যোগকেই ইরান সমর্থন জানাবে।

গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে সমর্থন করে ইরানী মুখপাত্র জোর দিয়ে বলেছেন, গাজায় ইসরাইলি শাসক গোষ্ঠীর অপরাধ বন্ধ করা পথের শেষ নয় এবং এই অপরাধের অপরাধী এবং কমান্ডারদের আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার করা উচিত। গাজায় গণহত্যা অবিলম্বে বন্ধ করার দিকে পরিচালিত করে এমন যেকোনো উদ্যোগ এবং পদক্ষেপের প্রতি ইরানের পূর্ণ সমর্থনের ওপর জোর দিয়ে ফাতেমেহ মোহাজেরানি বলেন, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ ‘সম্পূর্ণ বৈধ’ এবং তা ফিলিস্তিনিদের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামের ‘অবিচ্ছেদ্য অংশ’। ইরানের এই মুখপাত্র জোর দিয়ে বলেন, ন্যায়বিচারের প্রয়াস যুদ্ধবিরতির মধ্যেই শেষ হওয়া উচিত নয়। তার ভাষায়, ‘যারা যুদ্ধাপরাধ, গণহত্যা ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের নির্দেশ দিয়েছে এবং তা বাস্তবায়ন করেছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রকৃত জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে’। তিনি এ সময় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তাদের আইনগত ও মানবিক দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান। মোহাজেরানি বলেন, গাজায় সংঘটিত নৃশংসতার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ভবিষ্যৎ অপরাধ ঠেকাতে ন্যায়বিচারের এই অনুসন্ধান অপরিহার্য। এর আগে গত বৃহস্পতিবার ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তির ঘোষণা দেয়, যা এরমধ্যেই কার্যকরের পর্যায়ে রয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত