একজন বাইরের মহিলার হাত স্পর্শ করার আগে হাদিসটা মনে রাখবেন : রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক করার পর অবৈধভাবে কোনো মহিলার সঙ্গে সহবাস করার মতো বড় পাপ আর নেই।’ [আহমদ, তাবারানি]।
আরেক হাদিসে নবীজি (সা.) বলেন : ‘মানুষ তার সমগ্র ইন্দ্রিয়ের সাহায্যে জেনা করে। দেখা হচ্ছে চোখের জেনা, ফুঁসলানো কণ্ঠের জেনা, তৃপ্তির সঙ্গে কথা শোনা কানের জেনা, হাত দিয়ে স্পর্শ করা হাতের জেনা, কোনো অবৈধ উদ্দেশ্যে পথচলা পায়ের জেনা, এভাবে ব্যভিচারের যাবতীয় ভূমিকা যখন পুরোপুরি পালিত হয়, তখন লজ্জাস্থান তার পূর্ণতা দান করে অথবা পূর্ণতা দান থেকে বিরত থাকে।’ (বোখারি ও মুসলিম)।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের কারও মাথায় যদি লোহা দিয়ে আঘাত করা হয়, তবু এটা তার জন্য ওই মহিলাকে স্পর্শ করা থেকে উত্তম, যে তার জন্য বৈধ নয়।’ (সহিহুল জামে : ৪৯২১)।
অপর হাদিসে বলেন : ‘নিশ্চয়ই তোমাদের জন্য কারও মাথায় লোহার পেরেক ঠুঁকে দেওয়া ওই মহিলাকে স্পর্শ করা থেকে অনেক ভালো, যে তার জন্য হালাল নয়।’ (তাবারানি : ২০/২১২)।
নবীজি (সা.) বলেন : ‘আমি মেয়েদের সঙ্গে মুছাফাহা করি না।’ (আহমাদ : ৬/৩৫৮)।
অপর হাদিসে বলেন : ‘আমি মেয়েদের হাত স্পর্শ করি না।’ (সহিহুল জামে : ৭০৫৪)।
এ প্রসঙ্গে মা আয়েশা (রা.) বলেছেন, ‘আল্লাহর শপথ, রাসুল (সা.) এর হাত কখনোই কোনো বেগানা নারীর হাত স্পর্শ করেনি। তিনি কথার মাধ্যমে তাদের বায়াত করাতেন।’ (মুসলিম : ৩/১৪৭৯)।
আলোকিত ডেস্ক