আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা ইসমিদ সুরমা চোখে লাগাও। কেননা তা চোখের জ্যোতি বাড়ায় এবং চোখের পাতায় নতুন পাপড়ি গজায়।’ওই হাদিসে ইবনে আব্বাস (রা.) আরও বলেন, রাসুল (সা.) এর একটি সুরমাদানি ছিল। প্রতি রাতে ঘুমানোর সময় ওখান থেকে সুরমা নিয়ে তিনবার ডান চোখে, তিনবার বাম চোখে লাগাতেন। (শামায়েলে তিরমিজি : ৪৮)।
হাদিস থেকে বোঝা গেল, সুরমা বড়ই উপকারী একটি বস্তু। সম্ভব হলে আমাদের সবার ব্যবহার করা উচিত এটি।
এক্ষেত্রে একটা প্রশ্ন অনেকেই করে থাকেন- সুরমা কি তুর পাহাড়ের তাজাল্লি থেকে সৃষ্টি? সুরমার বিষয়ে কোনো কোনো লোককে বলতে শোনা যায় যে, মুসা (আ.) যখন তুর পাহাড়ে আল্লাহকে স্বচক্ষে দেখতে চেয়েছিলেন, তখন আল্লাহর তাজাল্লিতে পাহাড় ভস্ম হয়ে গিয়েছিল। সেই ভস্মীভূত পাহাড় থেকেই সুরমার উৎপত্তি ও ব্যবহার।
এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। সুরমা একটি খণিজ দ্রব্য, যাকে লিড সালফাইড বলে। ওটা চূর্ণ করেই সুরমা তৈরি করা হয়। এর সঙ্গে তুর পাহাড়ের কোনো সম্পর্ক নেই। মুসা (আ.) এর আল্লাহকে দেখার ইচ্ছা ও তুর পাহাড়ের মূল ঘটনাটি সত্য। কোরআন মাজিদের সুরা আরাফে এর পূর্ণ বিবরণ রয়েছে। কিন্তু কোথাও এই ঘটনার সঙ্গে সুরমাকে জড়িয়ে দেওয়ার কথাটি উল্লেখ নেই। অতএব এই ধরনের কথা পরিহার করা জরুরি। যাইহোক, সুরমা বড় উপকারী বস্তুÑ আধুনিক বিজ্ঞানও নির্দ্বিধায় তা বলে। সুরমার মধ্যে ভাগ আছে। তার মধ্যে সবচেয়ে সেরা হলো ইসমিদ সুরমা। এ ব্যাপারে রাসুল (সা.) বলেন, ‘সবচেয়ে উত্তম সুরমা হলো ইসমিদ সুরমা। তা চোখের জ্যোতি বাড়াতে ও পাপড়ি গজাতে বেশ সহায়তা করে।’ (শামায়েলে তিরমিজি : ৫১)।
যুবাইর আহমাদ তানঈম