
প্রথম নারী হিসেবে ইতিহাস গড়ে নেপালের প্রধানমন্ত্রী হলেন সুশীলা কার্কি। সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে গতকাল শুক্রবার রাতে শপথ নেওয়ার কথা দেশটির সাবেক এই প্রধান বিচারপতির। নেপালের প্রেসিডেন্ট দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। জেন-জির বিক্ষোভকারীদের প্রতিনিধি, প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাউডেল এবং সেনাবাহিনীর প্রধান অশোক রাজ সিগদেলের মধ্যে আলোচনা হয়। এরপর সুশীলা কার্কিকে প্রধানমন্ত্রী বানানোর সিদ্ধান্তের ব্যাপারে সবাই একমত হয়।
সুশীলা কার্কি নেপালের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হন। তার নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হবে। তার সরকারের মন্ত্রিসভার আকার ছোট হবে এবং রাতেই প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। এ বৈঠক থেকে কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার প্রস্তাব দেয়ার কথা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধের প্রতিবাদে গত সপ্তাহে আন্দোলনে নামে নেপালের জেন-জিরা। এরমধ্যে গত সোমবার বিক্ষোভকারীরা পার্লামেন্টে ঢোকার চেষ্টা করলে তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। এতে অনেক শিক্ষার্থী নিহত হন। এরপর ক্ষোভে ফেনে পড়েন বিক্ষোভকারীরা।গত মঙ্গলবার তাদের আন্দোলনের তীব্রতা বাড়লে প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়েন কেপি শর্মা অলি। এরপর তিনি গা ঢাকা দেন। ওইদিন বিক্ষোভকারীরা সাবেক দুজন প্রধানমন্ত্রীসহ অনেক মন্ত্রীর বাড়িতে হামলা চালান। এরমধ্যে অর্থমন্ত্রীকে রাস্তায় পেটানোর ঘটনাও ঘটে।