ঢাকা শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

শপথ নিলেন জাকসুর নবনির্বাচিত প্রতিনিধিরা

শপথ নিলেন জাকসুর নবনির্বাচিত প্রতিনিধিরা

দীর্ঘ ৩৩ বছর পর অনুষ্ঠিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের (জাকসু) নির্বাচিত প্রতিনিধিরা শপথ গ্রহণ করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সিনেট হলে জাকসুর সভাপতি ও উপাচার্য মোহাম্মদ কামরুল আহসান তাঁদের শপথবাক্য পাঠ করান। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন, গীতা, বাইবেল ও ত্রিপিটক থেকে পাঠ করা হয়। এরপর জাকসু নির্বাচনে ভোট গণনা কার্যক্রমে অংশ নিতে এসে অসুস্থ হয়ে মৃত্যুবরণ করা চারুকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌসের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। শপথ পাঠ শেষে উপাচার্য নবনির্বাচিত প্রতিনিধিদের ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করে নেন। এ সময় জুলাই আন্দোলনে সাভার এলাকায় শহীদ আলিফ আহমেদ সিয়াম ও শ্রাবণ গাজীর পরিবারের সদস্যরা এবং মিজানুর রহমানের স্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার জাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সহসভাপতি নির্বাচিত হন স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুর রশিদ জিতু এবং সাধারণ সম্পাদক ছাত্রশিবিরের মাজহারুল ইসলাম। এ ছাড়া ২৫টি পদের মধ্যে ২০টি পদে ছাত্রশিবির সমর্থিত সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট প্যানেলের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে জাকসু নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব ও প্রক্টর এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, ‘এই নির্বাচনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জয় হয়েছে। নির্বাচনের প্রতিটি ফুটেজ সংরক্ষিত আছে। যদি কেউ নির্বাচনের অনিয়ম নিয়ে চ্যালেঞ্জ করতে চান, তাহলে আমরা প্রস্তুত আছি। নির্বাচন উপলক্ষে যে অতিরিক্ত ব্যালট পেপার ছাপানো হয়েছিল, তার প্রতিটির হিসাব আমাদের কাছে আছে।’ জাকসুর নবনির্বাচিত সহসভাপতি (ভিপি) আবদুর রশিদ বলেন, ‘দীর্ঘ ৩৩ বছর জাকসু নির্বাচন না হওয়ায় সিনেটে কোনো শিক্ষার্থী প্রতিনিধি ছিল না। এই সময়ে সিনেট অধিবেশন ঠিকই হয়েছে, কিন্তু সেখানে শিক্ষার্থীদের পক্ষে কথা বলার কেউ ছিল না। আমরা জাকসুর নেতা হওয়ার জন্য এই জাকসু বাস্তবায়নের আন্দোলন করিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যে অধিকার থেকে বঞ্চিত রাখা হয়েছিল, আমরা সেই অধিকারকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য আন্দোলন করেছিলাম। আমরা সেই অধিকার ছিনিয়ে আনতে পেরেছি। শিক্ষার্থীদের অধিকারের স্বার্থে অতীতেও যেমন কোনো রক্তচক্ষুকে ভয় পাইনি, আগামীতেও ভয় পাব না।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও জাকসুর সভাপতি মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের প্রয়াসটি শুরু হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে। আমরা মনে করেছিলাম, এই নির্বাচনগুলো শুরু করা মানে জাতীয় পর্যায়ে নির্বাচনের সম্ভাবনা তৈরি করা। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্ষুদ্র পরিসরে সেটির চেষ্টা করেছে।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত