
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের আজাদ খান (৪৭) ইরাকে মর্মান্তিকভাবে খুন হয়েছেন। তিন মাস আগে দালালের মাধ্যমে জীবিকার সন্ধানে তিনি ইরাক যান। এক সপ্তাহ আগে বাগদাদ শহর থেকে নিখোঁজ হওয়ার পর তার মরদেহ তিন টুকরো অবস্থায় পাওয়া যায়। নিহত আজাদ খান হোসেন মন্ডল পাড়া গ্রামের ইয়াজ উদ্দিনের ছেলে। পরিবারের দাবি, দালাল বাবুলের মাধ্যমে ইরাক গেলেও তাকে প্রতিশ্রুত কাজ না দিয়ে অন্যত্র কাজে পাঠানো হয়। পরে আজাদকে হত্যা করে লাশ বস্তায় ভরে ময়লার ভাগাড়ে ফেলে দেওয়া হয়।
আজাদের স্ত্রী ময়না বেগম অভিযোগ করেন, দালাল বাবুল ফোন ধরলে হয়তো তার স্বামীর এই পরিণতি হতো না। তিনি হত্যার বিচার দাবি করেছেন। আজাদের মা নবিরণ বেগমও সন্তানের লাশ দেশে ফেরত চান।
ইরাক থেকে বাবুল জানান, আজাদকে অন্যত্র কাজে দেওয়া হয়েছিল এবং পরবর্তীতে হত্যার খবর পাওয়া গেছে। লাশ বর্তমানে বাগদাদের একটি মর্গে রয়েছে। আজ রবিবার হত্যাকারী কফিলকে আদালতে তোলা হবে বলে জানা গেছে। গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদুর রহমান বলেন, বিষয়টি তদন্ত করা হবে।