ঢাকা শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

‘হিজবুল্লাহ যথেষ্ট শক্তিশালী, তাদের কারও থেকে অস্ত্র নেওয়ার প্রয়োজন নেই’

‘হিজবুল্লাহ যথেষ্ট শক্তিশালী, তাদের কারও থেকে অস্ত্র নেওয়ার প্রয়োজন নেই’

ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের (এসএনএসসি) সচিব আলী লারিজানি বলেছেন, লেবানন পুনর্গঠনে ইরানসহ অন্যান্য দেশ ভূমিকা রাখছে।

এছাড়া দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ এতটাই শক্তিশালী যে তাদের কারও কাছ থেকে অস্ত্র নেয়ার প্রয়োজন নেই বলেও জানান তিনি। গত শনিবার বৈরুতে লেবানন ও ইরানি সাংবাদিকদের সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে লারিজানি লেবাননের সংসদ স্পিকার নাবিহ বেরির সঙ্গে বৈঠক করেন।

ইরান-সৌদি সম্পর্ক এবং হিজবুল্লাহর মহাসচিব শেখ নাঈম কাসেমের সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্কের নতুন অধ্যায় শুরুর আমন্ত্রণ প্রসঙ্গে লারিজানি বলেন, ‘আমি নাঈম কাসেমের উদ্যোগকে পছন্দ করি ও শ্রদ্ধা জানাই। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘সৌদি সরকার একটি ভ্রাতৃপ্রতীম ও মুসলিম সরকার, আমাদের মধ্যে পরামর্শ হয়।

এখন পরস্পরকে সহযোগিতার সময়, কারণ ইসলামি বিশ্ব একটি অভিন্ন শত্রুর মুখোমুখি।’ লারিজানি বলেন, ‘শেখ নাঈম কাসেমের পদক্ষেপ লেবাননের জনগণের স্বস্তির জন্য নেওয়া হয়েছে এবং এটি ছিল সঠিক পদক্ষেপ।’

তিনি আরও বলেন, ‘হিজবুল্লাহ লেবানন ও ইসলামি বিশ্বের একটি প্রকৃত আন্দোলন, যার একমাত্র লক্ষ্য লেবাননের জনগণের স্বস্তি নিশ্চিত করা।’ তিনি উল্লেখ করেন, ‘হিজবুল্লাহ ইসরাইলের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী প্রতিরক্ষা প্রাচীর, যারা লেবাননের জনগণের আরামের জন্য নিজেদের আত্মোৎসর্গ করে।’

এই জ্যেষ্ঠ ইরানি নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেন, ‘যে কোনো রাজনৈতিক আন্দোলন লেবাননের জনগণের শস্তির জন্য সহায়ক হলে আমরা তা কার্যকর বলে মনে করি।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিরোধ আন্দোলন ইসলামি বিশ্বের জন্য একটি বিশাল সম্পদ, বিশেষত হিজবুল্লাহ, যা ইসরাইলের বিরুদ্ধে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি আন্দোলন।’ লারিজানি বলেন, ‘যদিও লেবানন একটি ছোট দেশ, তবুও এটি ইসরাইলের বিরুদ্ধে শক্তিশালী।’ মার্কিন দূত টম বারাকের দাবি— তিনি হিজবুল্লাহকে কয়েক মিলিয়ন ডলার অর্থ সহায়তা দিয়েছেন এবং ইরান হিজবুল্লাহকে অস্ত্র দেয় কি না— এ প্রসঙ্গে লারিজানি বলেন, ‘আমি মনে করি বারাক রাগ থেকে এ কথা বলেছেন।’

সৌদি আরব ও হিজবুল্লাহকে কাছাকাছি আনার ক্ষেত্রে ইরানের কোনো ভূমিকা আছে কি না— এ প্রশ্নে লারিজানি বলেন, ‘আমরা মনে করি সৌদি ও হিজবুল্লাহর মধ্যে বুদ্ধিবৃত্তিক সহযোগিতা থাকা উচিত।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অঞ্চলে ভালো প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে এবং আমরা বর্বর ইসরাইলি হামলায় ধ্বংস হওয়া ঘরবাড়ি পুনর্র্নিমাণের বিষয়টিও অনুসরণ করছি।’ হিজবুল্লাহকে অস্ত্র সরবরাহ করে কি না— এ প্রশ্নে তিনি স্পষ্ট জবাব দেন, ‘হিজবুল্লাহর কারও কাছ থেকে অস্ত্র নেওয়ার প্রয়োজন নেই। তারা এতটাই শক্তিশালী যে অন্য কোথাও থেকে অস্ত্র সংগ্রহের দরকার হয় না। ’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত