
জ্ঞাত-আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে। গতকাল সোমবার শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর সিনিয়র বিশেষ জজ সাব্বির ফয়েজ তাকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। এর আগে তাকে কারাগার থেকে ঢাকা মহানগর সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্তের স্বার্থে তাকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর সিনিয়র বিশেষ জজ সাব্বির ফয়েজ তাকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। গ্রেপ্তার দেখানো শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে গত ১১ সেপ্টেম্বর দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক পাপন কুমার শাহ বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বিচারপতি হিসেবে কর্মরত থাকাকালে শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অসাধু উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৫ কোটি ৩৯ লাখ ৬৬ হাজার ৮২০ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জন করে তা দখলে রাখেন।
এছাড়া তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি থাকাকালে পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে উক্ত টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জনপূর্বক হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করেছেন। গত বছরের ২৪ আগস্ট সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার দনা সীমান্ত এলাকা থেকে ভারতে পালানোর সময় বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে গ্রেপ্তার করা হয়।