ঢাকা শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

দুর্বল ইঞ্জিন

সেতুতে উঠতে পারল না উপকূল এক্সপ্রেস

সেতুতে উঠতে পারল না উপকূল এক্সপ্রেস

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এবার সেতুতে ট্রেন উঠতে না পারার ঘটনা ঘটলো। সেতুতে ওঠার জায়গা একটু উঁচু হওয়ায় দুর্বল ইঞ্জিনের কারণে ট্রেনটি উঠতে পারেনি। পরে একটু পিছিয়ে যায়। সেখান থেকে বেশি গতি নিয়ে ট্রেনটি সেতুতে উঠতে সক্ষম হয়। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে নোয়াখালী এক্সপ্রেস ট্রেন কিশোরগঞ্জের ভৈরব স্টেশন ছেড়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ স্টেশনে যাওয়ার পথে এ ঘটনা ঘটে। ভৈরব থেকে কিশোরগঞ্জ যেতে ট্রেনটিকে মেঘনা সেতু পাড়ি দিতে হয়। ওই দুই স্টেশনের দূরত মাত্র দুই কিলোমিটারের মতো। যে কারণে যাত্রাবিরতি দিয়ে এক স্টেশন থেকে আরেক স্টেশনে যেতে ট্রেনের খুব একটা গতি থাকে না। একাধিক সূত্র জানায়, উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেন বিকেল ৫টা ৩৬ মিনিটে ভৈরব স্টেশনে নির্ধারিত যাত্রাবিরতি দেয়। মিনিট চারেক পর ট্রেনটি ছেড়ে যায়। তবে সেতুর কাছে গিয়ে ট্রেনটি দাঁড়িয়ে যায়। দুর্বল ইঞ্জিনের কারণে এটি উঠতে পারছিল না। পরে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে চালক ট্রেনটি পিছিয়ে ভৈরব স্টেশনে নিয়ে যান। পরে সেখান থেকে পিছিয়ে আউটারে নিয়ে যাওয়া হয়। আউটার থেকে সেতুতে ওঠা পর্যন্ত দূরত্বের সঙ্গে গতি বাড়ার কৌশল হিসেবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আউটার থেকে ছেড়ে ট্রেনটি গতি বাড়িয়ে সেতুতে উঠতে সক্ষম হয়। উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের চালক আব্দুল লতিফ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ভৈরব ছাড়ার পর বৃষ্টির কারণে চাকা স্লিপ করছিল। এ কারণে ট্রেনটি সেতুতে উঠতে পারছিল না। এ অবস্থায় কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে কথা বলে পিছিয়ে নিয়ে ট্রেন চালানো হয়।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ইঞ্জিন ছিল ৩০১৪ সিরিজে। এগুলো দুই মোটরের ইঞ্জিন। যে কারণে কিছুটা দুর্বল। এরআগে গতকাল শুক্রবার পূর্বাঞ্চল রেলপথে আরও তিনটি ট্রেনের সমস্যা দেখা দেয়। গত বৃহস্পতিবার রাতে আখাউড়া রেলওয়ে জংশনে সান্টিং করার সময় দুর্ঘটনায় পড়ে তিতাস কমিউটার। যে কারণে শুক্রবার সকালে ঢাকাগামী তিতাস ও ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অভিমুখী তিতাস কমিউটারের যাত্রা বাতিল করা হয়। সকালে মহানগর প্রভাতী আখাউড়ায় এলে এর হুইস পাইপ খুলে যায়। দুপুরে চট্টগ্রামগামী কর্ণফুলী এক্সপ্রেস আখাউড়ায় আসার পর এর ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত