ঢাকা শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন দাবিতে পদযাত্রা ও স্মারকলিপি প্রদান

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন দাবিতে পদযাত্রা ও স্মারকলিপি প্রদান

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে নভেম্বর মাসেই রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে তিস্তা মহাপরকিল্পনার কাজ শুরুর দাবি জানেয়েছে তিস্তা নদীরক্ষা আন্দোলন। দাবি আদায়ে পূর্বঘোষিত তিন দিনের কর্মসূচির প্রথম দিনে রংপুরসহ পাঁচ জেলায় পদযাত্রা ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে ভারী বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে রংপুর নগরীর শিক্ষা অফিস চত্বরের কাছ থেকে একটি পদযাত্রা বের করা হয়। তিস্তা নদীরক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু এতে নেতৃত্বে দেন। পদযাত্রাটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। এরপর জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সালের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদষ্টো বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন। এ সময় রংপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, সদস্য সচিব আনিছুর রহমান লাকু, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু, সদস্য সচিব অ্যাডভোকটে মাহফুজ-উন-নবী ডনসহ বিভিন্ন ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। তিস্তা নদীরক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার মাঝে মাঝে বলছে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ শুরু হবে। কিন্তু কখন শুরু হবে, কীভাবে শুরু হবে, সেটি স্পষ্ট করেনি। সেজন্য আমরা বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নেমেছি। রংপুর বিভাগের তিস্তা নদীবেষ্টিত পাঁচ জেলা লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, নীলফামারী ও রংপুরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হলো। আগামী ৯ অক্টোবর উপজলো পর্যায়ে গণমিছিল ও গণসমাবেশ এবং ১৬ অক্টোবর ১০টি উপজলোয় নদী-তীরবর্তী ১১টি স্থানে ১৩০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে মশাল প্রজ্জ্বলন কর্মসূচি পালিত হবে। তিনি আরও বলনে, আমাদের এসব শান্তিপূর্ণ আন্দোলনেও যদি সরকার দাবি বাস্তবায়নে উদ্যোগী না হয়, তবে লাগাতার কঠোর কর্মসূচি দিয়ে রংপুর বিভাগকে অচল করে দিতে বাধ্য হব আমরা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত