
রাজনৈতিক চেতনার ব্যবসা যারাই করেন, তাদের পরিণতি শুভ হয় না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। ালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের একক চেতনার ব্যবসা করতে করতে এখন বিলুপ্তপ্রায় হয়ে গেছে। তার মতে, কেউ যেন রাজনৈতিক দল করে ২৪-এর ছাত্র গণ-অভ্যুত্থানের চেতনার একক মালিকানা দাবি না করেন। রাজনৈতিকভাবে চেতনার ব্যবসা যারাই করেন, তাদের পরিণতি শুভ হয় না।
গতকাল শনিবার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ‘স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষায় মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম অতন্দ্রপ্রহরী’ শীর্ষক ‘মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের’ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য এ কথা বলেন সালাহউদ্দিন আহমদ। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল ও মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম এই সমাবেশের আয়োজন করে।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, এমন রাজনৈতিক চর্চা দরকার, যা গণমানুষের প্রত্যাশার বাস্তবায়ন করতে পারে। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ভিত্তি আরও শক্তিশালী করে সেই প্রত্যাশা বাস্তবায়ন করতে হবে।
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিষয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, দেশের মানুষের প্রত্যাশা ও আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। ভবিষ্যতে যারা রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন, তারা যেন সেটা মাথায় রাখেন যে এই দেশে স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের কোনো জায়গা নেই। যারাই গণতন্ত্র হত্যা করবেন, তাদের পরিণতি এ রকম হবে।
জামায়াতে ইসলামীকে উদ্দেশ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘জাতি দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে ভোটাধিকার প্রয়োগের আকাঙ্ক্ষা পোষণ করছে, সেই আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে যেন আপনারা না দাঁড়ান। কারণ আপনাদের ইতিহাস ৭১ সালে জন-আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে দাঁড়ানো। ৪৭-এ দেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে দাঁড়ানো। এখন যদি আপনারা বাংলাদেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে দাঁড়ান, তাহলে জনগণ আপনাদের প্রত্যাখ্যান করতে পারে।’
আওয়ামী লীগের ‘মৃত্যু ঢাকায় আর দাফন দিল্লিতে’ হয়েছে বলে মন্তব্য করেন সালাউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, আওয়ামী বাকশালী শক্তি যে, এ দেশের রাজনৈতিক শক্তি ছিল না—সেটা প্রমাণিত হয়েছে তাদের ভারতে আশ্রয় নেওয়ার মধ্য দিয়ে। আওয়ামী লীগ কখনো গণতান্ত্রিক দলও ছিল না, একটি মাফিয়া ফ্যাসিস্ট শক্তি ছিল। গণতন্ত্রের মুখোশে আলখাল্লা পরে ছিল।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত। আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির বিশেষ সহকারী ইশরাক হোসেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, আবদুস সালাম প্রমুখ। সমাবেশ শেষে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার থেকে জাতীয় প্রেসক্লাব পর্যন্ত একটি মিছিল করা হয়।