ঢাকা শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

অবসরপ্রাপ্ত বিদ্যুৎ কর্মজীবী কল্যাণ সমিতি

নতুন পে-স্কেল নীতিমালায় ১২ সুপারিশ অন্তর্ভুক্তির দাবি

নতুন পে-স্কেল নীতিমালায় ১২ সুপারিশ অন্তর্ভুক্তির দাবি

অন্তবর্তী সরকার কর্তৃক জাতীয় পে-স্কেল ২০২৫-এর কমিশন প্রধানসহ সকল সদস্যদের সুবিবেচিত সুপারিশমালা প্রণয়নকল্পে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অপরিহার্য প্রাপ্যতা নিশ্চিতে বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত বিদ্যুৎ কর্মজীবী কল্যাণ সমিতির পক্ষে বেশকিছু দাবি তোলা হয়েছে। অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে দাবিগুলো নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বলা হয়েছে। বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত বিদ্যুৎ কর্মজীবী কল্যাণ সমিতি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়েছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বর্তমান লাগামহীন মুদ্রাস্ফীতি বার্ষিক গড়ে প্রায় ৮%। মূল্যস্ফীতি অনুযায়ী ২০০৫ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত সময়ে দ্রব্যমূল্য সার্বিকভাবে বেড়েছে প্রায় ৫ থেকে ৬ গুণ; অন্য দিকে ব্যাংকের সুদ হার হ্রাসে এফডিআর ও সঞ্চয়পত্র থেকে পেনশনারদের প্রাপ্ত মুনাফা আয় কমেছে প্রায় ৩০%। এছাড়া, বিদ্যুৎ খাত সংস্কার করে সরকার বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড থেকে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ১৯৯৬-১৯৯৭ অর্থবৎসর থেকে ২০১৫-২০১৬ অর্থবৎসর পর্যন্ত অনেকগুলো কোম্পানি সৃষ্টি করেছে। সরকারের নির্দেশনার আলোকে যেসব কোম্পানি থেকে বাধ্য হয়ে বিউবোতে ফেরত আসা কর্মচারীদের বেলায় অবসরের ১৫ বৎসর পূর্তিতে সামাজিক ও আর্থিক সুরক্ষা নীতির আওতায় শতভাগ পেনশন পুনঃস্থাপন নিশ্চিত করা প্রয়োজন।২৫ বছর চাকরির পর সরকারি বিধি অনুযায়ী পূর্ণ পেনশন এবং ৫ থেকে ২৫ বৎসর মেয়াদের চাকরিজীবীদের সার্ভিস অনুযায়ী প্রাপ্ত আংশিক পেনশনের ভিত্তিতে অবসরের ১৫ বছর পূর্তিতে পেনশন পুনঃস্থাপন সুবিধা নিশ্চিত করা প্রয়োজন যা বর্তমানে বিবেচনা করা হচ্ছে না। দাবির মধ্যে রয়েছে- ১. অবসরভোগীদের চিকিৎসা ভাতা তিন স্তরে বয়সভিত্তিক নির্ধারণ করা। ৬০-৬৫ বছর এর জন্য মাসিক চিকিৎসা ভাতা ন্যূনতম ৫ হাজার টাকা, ৬৬-৭০ বছর এর জন্য মাসিক চিকিৎসা ভাতা ন্যূনতম ৭ হাজার ৫০০ টাকা ও ৭০ বছর এবং তদুর্ধদের ক্ষেত্রে চিকিৎসা ভাতা ন্যূনতম ১০ হাজার টাকা করা প্রয়োজন। ২. যে সমস্ত পেনশনভোগীদের নিজস্ব কোন বাসাবাড়ি নেই, তাদের জন্য নিট পেনশনের ন্যূনতম ৩০% বাড়িভাড়া সাপোর্ট প্রদান করা। ৩. যে সমস্ত পেনশনভোগীকে সরকার কর্তৃক ২০২৫ সালের ১৪ অক্টোবর জারিকৃত প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে পেনশন পুনঃনির্ধারণ করে সর্বশেষ আহরিত মূল বেতনের ৯০% করা হয় এবং আনুতোষিক হার পেনশন যোগ্যদের ক্ষেত্রে চাকরিকাল যাই হোক ২৩০ টাকা নির্ধারিত আছে, তা পরিবর্তনপূর্বক ২৫০ টাকা করা হোক। বর্তমানে সরকার থেকে প্রাপ্ত ৫০% আনুতাষিক অর্থ থেকে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ পেনশন সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের সিলিং যা নির্ধারিত আছে তা দ্বিগুণ করা। ৪. অবসরভোগীদের পেনশন সঞ্চয়পত্র/স্থায়ী আমানত হতে ১০/১৫% উৎস কর কর্তন সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা। ৫. প্রতি বছর/মাসে সরকার ঘোষিত মুদ্রাস্ফীতির হার সমন্বয় করে মাসিক পেনশন এর সাথে যোগ করতে প্রকৃত আয় বহাল রাখার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। ৬. সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগে মুনাফার হার আলাদাভাবে নির্ধারণ করে ন্যূনতম ২০% করা। ৭. প্রবীণ পেনশনভোগীদের জন্য সরকারকে বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিকসমূহে চিকিৎসকদের কন্সালটেন্সি ফি ৫০% এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা ৫০% ডিসকাউন্ট প্রদার করার জন্য নির্দেশনা প্রদান। ৮. প্রবীন পেনশনভোগীদের বেলায় রেজিস্টার্ড চিকিৎসক কর্তৃক প্রেসক্রিপশনে প্রদত্ত সকল ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানির উৎপাদন মূল্যে প্রদানের নির্দেশিকা দেওয়া অথবা একটি ওষুধ ব্যাংক প্রস্তুত করে রোগীদের সেখান থেকে ন্যয্যমূল্যে ওষুধ পাওয়ার ব্যবস্থা করা। জাতীয় পে-স্কেল বাস্তবায়নে নানারকম জটিলতা নিরসনে সরকার কর্তৃক উচ্চপর্যায়ে গঠিত পে-এনামেলি কমিটি সচল করা। ১০. গঠিত পে-কমিশন ২০২৫ কে নিট পেনশনের পরিমাণ সর্বনিম্ন ১০ হাজার টাকা করার জন্য সরকারের প্রতি সুপারিশ করা। ১১. দীর্ঘকাল ধরে ১০০% পেনশন সমর্পণকারীগণের সুরক্ষা পেনশন সুবিধা প্রাপ্তির সময়কাল পুনঃস্থাপন করার সময়কাল কমিয়ে ১৫ থেকে ১০ বছর করা। ১২. সরকার কর্তৃক ২০২৫ সালের ১৪ অক্টোবর তারিখে অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রবিধি অনুবিভাগ (শাখা-০১) কর্তৃক জারিকৃত ১১৮নং প্রজ্ঞাপন মোতাবেক পেনশনযোগ্য চাকরিকালে নির্ধারণ টেবিলে উদ্ধৃত ৫ বছর থেকে ২৪ বছর পর্যন্ত সব পর্যায়ে ৬ মাসের অধিক সময় ওই বছরে বাকি সময়কে পূর্ণ বছর হিসাবে কার্যকাল ধার্যকরতঃ চাকরিকাল ধার্যকরণ বিষয় প্রমার্জন করতঃ পরবর্তী ধাপের পূর্ণতা দিয়ে প্রাপ্যতা প্রদানের জন্য সুপারিশ করা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত