
গতকাল বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ হুঁশিয়ারি দেন প্যানেলের সমাজসেবা সম্পাদক পদপ্রার্থী ও শাখা জাতীয় ছাত্রশক্তির মুখ্য সংগঠক ফেরদৌস শেখ। ফেরদৌস শেখ বলেন, বিভিন্ন মহল থেকে পরিকল্পিতভাবে জকসু নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা চলছে। ভূমিকম্পের অজুহাতে অযথা ছুটি বাড়িয়ে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা দৃশ্যমান। জকসু নিয়ে কোনো ধরনের টালবাহানা সহ্য করা হবে না। তিনি নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন এক প্যানেলকে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে শোকজ নোটিশ দিলেও আরেকটি প্যানেলের প্রকাশ্য লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এতে কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মনে গভীর প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।’ সংবাদ সম্মেলনে ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান প্যানেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান একাডেমিক সংকটের বিষয়েও তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে। তাদের দাবি ?ভূমিকম্পের পর ঘোষিত দুই সপ্তাহের ছুটি ছিল অদূরদর্শী সিদ্ধান্ত। এতে সেমিস্টারসূচি, পরীক্ষা ও চাকরির আবেদনের সুযোগ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে, অথচ ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর মেরামতে কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই।
ফেরদৌস শেখ আরও বলেন, ‘সম্পূরক বৃত্তি প্রাপ্তদের তালিকা সময়মতো প্রকাশ করতে প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে। নভেম্বরের মধ্যে তালিকা প্রকাশের প্রতিশ্রুতি থাকলেও ডিসেম্বরেও তা প্রকাশ করা হয়নি।’ প্যানেল এক সপ্তাহের মধ্যে বৃত্তির তালিকা প্রকাশের দাবি জানায়। দ্বিতীয় ক্যাম্পাস প্রকল্পের দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশে প্রশাসনের অনীহা নিয়েও ক্ষোভ জানান প্যানেল নেতারা। তাদের অভিযোগ শ্বেতপত্র প্রকাশ না হওয়ায় প্রকল্পের অগ্রগতি থমকে গেছে, এমনকি সেনাবাহিনীও সম্পূর্ণ সক্ষমতায় কাজ করতে পারছে না। এছাড়া ৭ একরের অস্থায়ী আবাসন প্রকল্পেও ‘রহস্যজনক ধীরগতি’ লক্ষ্য করা যা”েছ বলেও তারা মন্তব্য করেন। সংবাদ সম্মেলনের শেষে ফেরদৌস শেখ বলেন, জকসু নির্বাচন যথাসময়ে করতে হলে আগামী রোববারের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিতে হবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের; তাদের ভবিষ্যৎকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেওয়া আমরা মেনে নেব না।