ঢাকা শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

জুয়ার লেনদেন নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় শিপনকে

জুয়ার লেনদেন নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় শিপনকে

অনলাইন জুয়া খেলার আয়ের টাকা দিয়ে অটোরিকশা ক্রয়ের লেনদেনের জেরে ছরতা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে অটোরিকশাচালক শিপনকে হত্যা করা হয়। পরে লাশ ফেলে দিয়ে অটোরিকশা ছিনতাই করে নিয়ে যান মামলার প্রধান আসামি কবির আলম টিপু। পুলিশের হাতে গ্রেফতারের পর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে শিপন হত্যার বর্ণনা দেন কবির আলম টিপু (৩০)। গতকাল শুক্রবার বিকালে সিলেটের জুডিশিয়াল আমলি ৪নং আদালতের বিচারক ইয়াছমিন আক্তারের আদালতে জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। আদালতের বরাত দিয়ে শিপন হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসমানীনগর থানার এসআই শফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

কবির আলম টিপু নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার শিবপুর (আউতহাটি) গ্রামের আবু বক্কর ছিদ্দিকের ছেলে। একই এলাকার বাউশারী (রামচন্দ্রপুর) গ্রামের তার ফুফা হাসিম আলীর বাড়ি থেকে ২৫ ডিসেম্বর ভোরে তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে ওসমানীনগর থানা পুলিশ। পরে পুলিশ আসামিকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থল ওসমানীনগর উপজেলার সাদিপুর ইউপির চাতলপাড় নদী থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছরতা ও নেত্রকোনা থেকে লুণ্ঠিত অটোরিকশা উদ্ধার করে।

আদালত ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার বরাত থেকে জানা যায়, আসামি কবির আলম টিপু ঘটনার কয়েক দিন পূর্বে অনলাইনে জুয়া খেলে ৭০ হাজার টাকা লাভ করে। এই টাকা দিয়ে আসামি কবির আলম টিপু একটি সিএনজি অটোরিকশা গাড়ি ক্রয় করে দেওয়ার জন্য ভিকটিম শিপন আহমদকে প্রস্তাব করেন। সিএনজি গাড়ি ক্রয় বাবদ ভিকটিম শিপন আহমদকে দেড় লাখ টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও আসামি কবির আলম টিপু ঘটনার সময় ৮০ হাজার টাকা দেন।

সিএনজি গাড়ি ক্রয়-বিক্রয় করার সময় আসামি কবির আলম টিপু ৭০ হাজার টাকা কম দেওয়ায় উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে কবির আলম টিপু তার মায়ের জন্য ক্রয়কৃত ছরতা দিয়া এলোপাতাড়ি কুপিয়ে শিপনকে হত্যা করে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওসমানীনগর থানার এসআই শফিকুল ইসলাম বলেন, সিলেটের পুলিশ সুপার কাজী আখতার-উল আলমের সার্বিক দিক-নির্দেশনায় এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. জাকির হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওসমানীনগর (সার্কেল) মানছুরা বেগমের সার্বিক সহযোগিতায় ও অফিসার ইনচার্জ মো. মুরশেদুল আলম ভূঁইয়ার নেতৃত্বে আমি ও এসআই আশীষ চন্দ্র তালুকদারসহ একদল সহকর্মীর সহযোগিতায় তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে আসামিকে গ্রেফতার ও মামলার রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হই। ওসমানীনগর থানার ওসি মো. মোরশেদুল আলম ভূঁইয়া বলেন, শিপন হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ১৪ ডিসেম্বর উপজেলার সাদিপুরের চাতলপাড় কেশবপুর সেতুর নিচ থেকে শিপন আহমদের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে ওসমানীনগর থানা পুলিশ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত