ঢাকা সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

২০ কোটি টাকা আত্মসাৎ

সেই ডিসি রুহুল আমিন কারাগারে

সেই ডিসি রুহুল আমিন কারাগারে

২০ কোটি টাকা আত্মসাৎ মামলায় কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. রুহুল আমিনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল রোববার দুপুর ১২টার দিকে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুন্সী আব্দুল মজিদ এই আদেশ দেন। আদালতে নিযুক্ত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) সিরাজ উল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ২০১৪ সালের ১৯ নভেম্বর কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ক্ষতিপূরণের একটি প্রধান আসামি ছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক রুহুল আমিন। মামলা থেকে বাদ যেতে বাদী কায়সারুল ইসলাম চৌধুরীর স্বাক্ষর এবং নথি জাল করে তৎকালীন জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক সাদিকুল ইসলাম তালুকদারের সাথে যোগসাজশ করে নিজেদের নাম কেটে দেয়ার মাধ্যমে ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের ষড়যন্ত্র করেছিলেন প্রধান আসামি রুহুল আমীন।

এই ঘটনায় রুহুল আমীন, তৎকালীন জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক সাদিকুল ইসলাম তালুকদার, আইনজীবী মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নাজির স্বপন কান্তি পাল এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালতের স্টেনোগ্রাফার জাফর আহমদসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন বাদী।

এই মামলায় গত ২৩ জানুয়ারি পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুন্সী আব্দুল মজিদ।

দুদকের এই আইনজীবী জানান, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর গতকাল রোববার আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করেন সাবেক জেলা প্রশাসক রুহুল আমিন। আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন? অন্য আসামিরা কেউ জামিন আবেদন করেননি বলে জানান দুদকের আইনজীবী মো. সিরাজ উল্লাহ।

২০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় ২০১৭ সালের ২২ মে রুহুল আমিনকে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে, দুদক বিভিন্ন আসামিকে গ্রেপ্তার করে। মামলাটি বর্তমানে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে বিচারাধীন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১৯ নভেম্বর মাতারবাড়ী তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জমি অধিগ্রহণের প্রায় ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে তৎকালীন জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিনকে প্রধান আসামি করে ২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন মাতারবাড়ীর বাসিন্দা একেএম কায়সারুল ইসলাম চৌধুরী। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য দুদককে নির্দেশ দেন। মামলার পরপরই ১ নম্বর আসামি রুহুল আমিনের নাম বাদ দিয়ে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে নথিপত্র পাঠান তৎকালীন জেলা ও দায়রা জজ মো. সাদিকুল ইসলাম তালুকদার। জেলা প্রশাসনের তথ্য বলছে, শুরুতে চিংড়ি ঘের অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রায় ২৩ কোটি টাকার চেক বিতরণ করা হয়েছিল। পরে তিনটি চেক বাতিল করা হয়। এরপর অবশিষ্ট ১৯ কোটি ৮২ লাখ ৮ হাজার টাকা যারা নিয়েছেন এবং দিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে। ২০১৪ সালের ৭ ডিসেম্বর কক্সবাজার সদর মডেল থানায় সাবেক জেলা প্রশাসক রুহুল আমিনসহ অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা হয়। দুদক দীর্ঘ তদন্ত শেষে প্রায় ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পায়।

শ্রম সংশ্লিষ্ট সুফলভোগীরা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত