দেশি ফলের মধ্যে কিছুটা কম পরিচিত এই ফল। তবে এর স্বাদ এবং উপকারিতা কোনোটাই কম নয়। এতে আছে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং অন্যান্য খনিজ পদার্থ। যে কারণে সফেদা খেলে তা স্বাস্থ্যের অবস্থা উন্নত করে। চলুন জেনে নেওয়া যাক সফেদা খাওয়ার কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে-
হজমের কার্যকারিতা বাড়ায় : সফেদা ট্যানিনের একটি সমৃদ্ধ উৎস হিসেবে কাজ করে। ট্যানিন হলো একটি প্রাকৃতিক উদ্ভিদ যৌগ যা পাক¯’লীর অ্যাসিডিক নিঃসরণকে নিউট্রাল করে। এছাড়াও এই ফলে উ”চ খাদ্যতালিকাগত ফাইবারের উপ¯ি’তি মলের পরিমাণ বৃদ্ধি করে, কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময় করে, মলত্যাগের গতি উন্নত করে এবং হজমের সমস্যা নিরাময় করে। এছাড়াও এর অ্যান্টিভাইরাল, অ্যান্টিপ্যারাসাইটিক, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যের সাহায্যে গ্যাস্ট্রিক সমস্যা দূর করা সম্ভব।
হাড় শক্তিশালী করে : যখন শরীর প্রয়োজনীয় পরিমাণে ফসফরাস, ক্যালসিয়াম এবং আয়রন পায়, তখন শক্তিশালী হাড় বজায় রাখা সহজ হয়। এই উপাদানগুলো অর্জনের অন্যতম সেরা উৎস হলো সফেদা। তাই এটি খাওয়ার মাধ্যমে আয়রন, ফোলেট, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, জিঙ্ক, কপার এবং অন্যান্য উপাদান শরীরে পৌঁছানো সম্ভব। দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে: সফেদা খাওয়ার সবচেয়ে বড় সুবিধার মধ্যে একটি হলো এটি প্রতিদিন খাওয়ার মাধ্যমে চোখের সমস্যা এড়াতে পারেন। যেহেতু এতে প্রচুর ভিটামিন এ রয়েছে, তাই এটি আপনার চোখকে সু¯’ রাখে এবং দৃষ্টি সংবেদনশীল কোষ গঠনের প্রক্রিয়াও উন্নত করে। উন্নত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা : সফেদায় প্রচুর ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। যার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সু¯’ থাকে এবং রোগমুক্ত শরীর গড়ে ওঠে। এছাড়াও এতে পলিফেনলও রয়েছে যা শরীর থেকে সমস্ত বিষাক্ত বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয় এবং রোগ হওয়ার ঝুঁকি কমায়। এই ফলে জীবাণু এবং ভাইরাস থেকে রক্ষা করার জন্য অ্যান্টিভাইরাল এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যও রয়েছে। রক্ত জমাট বাঁধা দূর করে: যেহেতু সফেদার অ্যান্টিপ্যারাসাইটিক এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, তাই এটি রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করতে এবং ক্রমাগত কাশির সমস্যার উন্নতি করতে সাহায্য করতে পারে। এটি নাক এবং শ্বাস নালী থেকে শ্লেষ্মা এবং কফ দূর করে।
