ব্যবহার না করলেও অনেক সময় ব্যবহারকারীদের ইন্টারনেট ব্যবহারের ইতিহাস সংগ্রহের জন্য অ্যাপগুলো ফোনের ব্যাকগ্রাউন্ডে সব সময় চালু থাকে। এই অনুমতি দেন ব্যবহারকারীই। এর ফলে ব্যাটারি খরচ হতে থাকে। সম্প্রতি সুইডেনের অনলাইন পত্রিকা নাইহেডার স্মার্টফোনে ব্যবহৃত জনপ্রিয় অ্যাপগুলোর কার্যক্রম পর্যালোচনা করে সবচেয়ে বেশি ব্যাটারি বেশি খরচ করা কয়েকটি অ্যাপের নাম প্রকাশ করেছে। সেই তালিকা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি ব্যাটারি বেশি খরচ করা অ্যাপগুলোর বেশিরভাগই দৈনন্দিন বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়। এর ফলে চাইলেও মুছে ফেলা যায় না। ফোনে সবচেয়ে বেশি ব্যাটারি বেশি খরচ করা অ্যাপগুলো হলো এয়ারবিএনবি, উবার, ফিটবিট, স্কাইপি, ফেসবুক, এয়ারবিএনবি, ইনস্টাগ্রাম, টিন্ডার, বাম্বেল, স্ন্যাপচ্যাট ও হোয়াটসঅ্যাপ।
ব্যাটারির চার্জ বেশি সময় ধরে রাখার জন্য ফোনের সেটিংস অপশন থেকে ব্যাটারির অ্যাডভান্সড সেটিংস পরিবর্তনের পাশাপাশি বেশি ব্যাটারি খরচ করা অ্যাপগুলোর ক্যামেরা, মাইক্রোফোন প্রভৃতির অ্যাকসেস বন্ধ রাখতে হবে। এতে ব্যাটারির চার্জ কম খরচ হবে। অবকাশযাপন করতে গিয়ে উঠেছেন হোটেলে।
ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হোটেল রুমে গোপন ক্যামেরা আছে কিনা বুঝবেন কীভাবে? কারণ হোটেলকক্ষে গোপন ক্যামেরা বসিয়ে ব্যক্তিগত মুহূর্ত ধারণের ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। তবে সুখবর হচ্ছে হোটেলের ঘরে কোনো গোপন ক্যামেরা রয়েছে কি না, তা জানা যাবে স্মার্টফোনের সাহায্যেই। ফোনের ফ্ল্যাশলাইট ব্যবহার করে ঘরে রাখা গোপন ক্যামেরা চিহ্নিত করা সম্ভব। এজন্য ঘরের আলো নিভিয়ে দিতে হবে। এরপর ঘরের যে অংশে ক্যামেরা লুকানো থাকতে পারে, সেই জায়গায় ফোনের ফ্ল্যাশলাইট জ্বালাতে হবে। এর মধ্যে অন্যতম হলো এয়ার ভেন্ট, স্মোক ডিটেক্টর, অ্যালার্ম ক্লক অথবা আয়না। ছোট্ট একটি রিফ্লেক্টিভ গ্লিন্ট অথবা লেন্সের মতো সারফেস খুঁজতে হবে কিছু সন্দেহজনক বিষয় চোখে পড়লে সেই জায়গাটি খুঁটিয়ে দেখতে হবে।
স্মার্টফোনের ক্যামেরা ব্যবহার করে ইনফ্রারেড আলো চিহ্নিতকরণ পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন। এজন্য প্রথমে আলো একেবারে নিভিয়ে দিতে হবে। এরপর স্মার্টফোনের ক্যামেরা অ্যাপ খুলতে হবে। ক্যামেরা কোথায় গোপন করা থাকতে পারে, সেখানে ধীরে ধীরে ক্যামেরা প্যান করতে হবে। ক্যামেরা স্ক্রিনে ছোট্ট পালসিং ডট অথবা গ্লোয়ের দিকে নজর দিতে হবে। এই ইনফ্রারেড আলোই হিডেন ক্যামেরার উপস্থিতি চিহ্নিত করবে। এই সিগন্যাল পেলে সেই জায়গাটি খুঁটিয়ে পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
স্মার্টফোনের জন্য তৈরি বিশেষ অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে গোপন ক্যামেরা শনাক্ত করা সম্ভব। এই অ্যাপগুলো ইনফ্রারেড আলো, চৌম্বকক্ষেত্র এবং অস্বাভাবিক সংকেত শনাক্ত করতে পারে। নির্ভরযোগ্য একটি অ্যাপ ডাউনলোড করে সেটির মাধ্যমে রুমের সন্দেহজনক স্থান পরীক্ষা করতে হবে।
অ্যাপগুলো ইনফ্রারেড লাইট, ম্যাগনেটিক ফিল্ড এবং অস্বাভাবিক সিগন্যাল স্ক্যান করতে পারে। যা গোপন ক্যামেরা চিহ্নিত করতে সহায়ক।
অনেক গোপন ক্যামেরা ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কাজ করে। স্মার্টফোন দিয়ে রুমের ওয়াইফাই নেটওয়ার্কে যুক্ত যন্ত্র শনাক্ত করা সম্ভব। স্মার্টফোনের ওয়াইফাই সেটিংসে গিয়ে নেটওয়ার্কে যুক্ত যন্ত্রগুলোর তালিকা দেখতে হবে। তালিকায় যদি অপরিচিত বা সন্দেহজনক নামের ডিভাইস যেমন আইপি ক্যামেরা বা ক্যামেরা দেখা যায়, সেটি নিয়ে সতর্ক হতে হবে।