ঢাকা বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

দেশে বেড়েছে খাদ্য মজুত

দেশে বেড়েছে খাদ্য মজুত

চলতি অর্থবছরের শুরুতে দেশের বিভিন্ন গুদামে চাল ও গমের মজুত রয়েছে ১৭ দশমিক ৬৪ লাখ মেট্রিক টন, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৩ লাখ টন বেশি। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়। এতে আরও বলা হয়, সরকারি মজুত, সংগ্রহ ও বিতরণ পরিস্থিতি সম্পর্কে খাদ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত বছরের ১ জুলাই দেশে চাল ও গমের মোট মজুত ছিল ১৪ দশমিক ৭৩ লাখ টন। এর মধ্যে চালের মজুত ছিল ১০ দশমিক ৬০ লাখ টন এবং গমের মজুত ছিল ৪ দশমিক ১৩ লাখ টন।

সেই হিসেবে নতুন অর্থবছরের শুরুতে চালের মজুদ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ দশমিক ৪১ লাখ টনে। এছাড়া অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে সংগৃহীত ও আমদানিকৃত গমের মোট সংগ্রহের তুলনায় বিতরণ বেশি হওয়ায় গমের মজুত কমে দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ২৩ লাখ মেট্রিক টনে।

এদিকে, গত কয়েক সপ্তাহে সব ধরনের চাল মানভেদে বেড়েছে ৫-৯ টাকা পর্যন্ত। রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায় চালের বাড়তি দাম। পাইকারি পর্যায়ে মানভেদে ঈদুল আজহার আগে ৭০ থেকে ৭২ টাকায় বিক্রি হওয়া মিনিকেট ৭৮ থেকে ৮০; ৫৩ থেকে ৫৪ টাকার আটাশ চাল ৫৬ থেকে ৬০ আর নাজিরশাইল ৭৫ থেকে ৭৮ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭৮ থেকে ৮২ টাকা পর্যন্ত। আর পাইকারির চেয়ে ২-৫ টাকা বাড়তিতে বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। ঈদের আগে ধানের দাম কম থাকার সুবাদে বড় বড় কোম্পানিগুলো মাত্রাতিরিক্ত চাল মজুত করেছে অভিযোগ করে বিক্রেতারা বলছেন, চাল বাজারের এই অস্থিরতার কারিগর সিন্ডিকেট চক্রকে। ভরা মৌসুমেই চালের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় দুশ্চিন্তার কথা জানিয়ে ক্রেতারা বলছেন, কার্যকরী তদারকি ও অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত না হলে সামনে আরও বাড়বে চালের দাম। বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, আপাতত দাম হয়তো আর বাড়বে না। তবে পর্যাপ্ত আমদানি করা না গেলে এবং বাজার ব্যবস্থাপনা ঠিকমতো সামাল দিতে না পারলে দাম আবার বেড়ে যেতে পারে। এজন্য সরকারকে আরও চাল আমদানি করতে হবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এবার আমন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ কোটি ৭৮ লাখ টন। এর বিপরীতে উৎপাদন হয়েছে ১ কোটি ৭১ লাখ টন। যদিও খাতসংশিষ্টরা বলছেন, প্রকৃত উৎপাদন আরও কম হতে পারে। আর উৎপাদন কম হওয়ায় আমনের ভরা মৌসুমেও এবার চালের দাম বেড়ে যায়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত