ঢাকা শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

সুসংবাদ প্রতিদিন

দৌলতপুরে কমলা চাষে সাফল্য

দৌলতপুরে কমলা চাষে সাফল্য

থোকায় থোকায় ঝুলছে নানা আকারের কমলা রঙের কমলা। কমলাসহ গাছগুলো দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনি ফল স্বাদেও অনন্য। বিস্তীর্ণ মাঠের মাঝে সারি সারি শতাধিক চায়না জাতের কমলার গাছ। যার চাষ হচ্ছে- কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের মধুগাড়ী গ্রামের মধুগাড়ী মাঠে।

বাগানের মালিক আবদুল হামিদ এরই মধ্যে পাকা কমলা বিক্রি শুরু করেছেন। এতে ভাগ্য ফেরানোর স্বপ্ন দেখছে তিনি। বাগান দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন বিভিন্ন এলাকা থেকে আশা দর্শনার্থীরা। ফলন ভালো দেখে অনেকেই উৎসাহী হয়েছে নতুন বাগান তৈরির। কৃষি বিভাগ বলছে, এসব ফলজ আবাদে আগ্রহী উদ্যোক্তাদের সব ধরনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। শুধু কমলা নয়, এই উপজেলায় চাষ হচ্ছে নানা প্রজাতির ফল।

উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম জানায়, উপজেলায় ১ হাজার ৭৯২ হেক্টর জমিচাষ হয় বিভিন্ন প্রজাতির ফল। যার মধ্যে রয়েছে- আম, জাম, লিচু, কাঁঠাল ও কলা। এছাড়া ৮ হেক্টর মালটা, ৫২ হেক্টর আতা, ১ হেক্টর কমলা, ৯৫ হেক্টর পেয়ারা, ৫৭ হেক্টর বরই, ২ হেক্টর করে ড্রাগন ও শরিফা ফলের চাষ হচ্ছে।

জানা গেছে, উদ্যোক্তা আবদুল হামিদ শুরু থেকেই কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত। চার বছর আগে (২০২০ সালে) ইউটিউবে কমলা চাষের বিষয়ে জানতে পারেন তিনি। পরে পার্শ্ববর্তী চুয়াডাঙ্গা জেলার একটি বাগান থেকে চারা সংগ্রহ করে উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শ নিয়ে তার এক বিঘা জমিতে ১১৫টি চারা রোপণ করেন।

হামিদ আরও বলেন, ২০ হাজার টাকা খরচ করে তিনি বাগান শুরু করেন। এসময় বাগানের ভেতরে সাথী ফসল হিসেবে অন্য ফসল আবাদ করে নিতেন। গেল বছর কিছু ফল ধরলেও এবার তার বাগানের ১০৮টি গাছে বিপুল পরিমাণে ফল হয়েছে। তবে প্রথমবার ফল বিক্রি করায় দামের বিষয়টি বুঝতে না পেরে, তেমন একটা লাভ করতে পারেনি। তার পুরো বাগান বিক্রি করেছেন মাত্র ১ লাখ টাকায়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত