
সিরাজগঞ্জে মৌসুমি সরিষা চাষাবাদ পুরোদমে শুরু হয়েছে। এ চাষাবাদে জমি প্রস্তুতিতিতে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকেরা। এরইমধ্যে ৫০% এ সরিষার বীজ বোপণ করেছে কৃষকেরা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ৮৭ হাজার ১২৫ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষকেরা এ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে এ চাষাবাদ করবে। এ সরিষা চাষাবাদ বেশি হয়ে থাকে সিরাজগঞ্জে চলনবিল এলাকার তাড়াশ, রায়গঞ্জ, উল্লাপাড়া, শাহজাদপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এবং কামারখন্দ, কাজিপুর, বেলকুচি ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এ সরিষা চাষাবাদ করা হচ্ছে। এছাড়াও যমুনা নদীর তীরবর্তী ৫টি উপজেলার চরাঞ্চলেও এ সরিষার আবাদ করা হচ্ছে। এ সরিষার মধ্যে টরি-৭, বারি-১৪, বীনা-৯ চাষাবাদ করা হচ্ছে। তবে চরাঞ্চলে ইউরিক অ্যাসিড মুক্ত ক্যলানীয়া জাতের সরিষা চাষ হচ্ছে বেশি। চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে এ সরিষা চাষাবাদ শুরু হয় এবং আগামী মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে সরিষার বীজ রোপণ করা শেষ হবে। এবার জেলায় ৭৩ হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মধ্যে ১ কেজি সরিষার বীজ, ১০ কেজি ড্যাপ ও ১০ কেজি পটাস সার প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। এজন্য কৃষকেরা এ চাষবাদে আগ্রহী হয়ে উঠছে এবং এ চাষাবাদ কাজে গরু ও ট্রাক্টর মেশিনে জমি প্রস্তুতি করা হচ্ছে। এমনকি রোপা আমন ধান কাটার পরেও এ লাভজনক সরিষা চাষ করবে কৃষকেরা। এছাড়াও নিম্নাঞ্চলে রোপা আমন ধান কাটার সঙ্গে সাথে বীনা চাষে কাঁদা মাটিতে এ সরিষা চাষাবাদ করা হচ্ছে এবং এ চাষাবাদ জেলার কামারখন্দ, উল্লাপাড়া ও রায়গঞ্জে বেশি হচ্ছে। স্থানীয় কৃষকেরা বলছেন, সরিষা চাষাবাদে প্রণোদনা হিসাবে নির্ধারিত হারে বীজ ও সার প্রদান করেছে সংশ্লিষ্ট কৃষি বিভাগ। এ চাষাবাদে কৃষি কর্মকর্তারা নানা পরামর্শও দিচ্ছে। এ চাষাবাদে খচর কম ও লাভ বেশি হওয়ায় কৃষকেরা ঝুকে পড়েছে। বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকেরা সার বীজ পাওয়ায় চাষাবাদে আগ্রহী হয়ে উঠছে।
এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক একেএম মঞ্জুরে মওলা আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, জেলার চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থানে সরিষা চাষাবাদ শুরু করেছে কৃষকেরা। এ চাষাবাদে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্য সার বীজ দেওয়া হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট কৃষি বিভাগ কৃষকদের পরামর্শও দিচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার সরিষার বাম্পার ফলন হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।