ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

চানখারপুলে ছয় হত্যা মামলায় শেষ হলো সাফাই সাক্ষ্য

চানখারপুলে ছয় হত্যা মামলায় শেষ হলো সাফাই সাক্ষ্য

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের দিন চব্বিশের ৫ আগস্ট রাজধানীর চানখারপুলে ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় এক আসামির পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য শেষ হয়েছে। যুক্তিতর্কের জন্য আগামী ১৫ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

গতকাল বুধবার ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের বিচারিক প্যানেলে এ দিন নির্ধারণ করা হয়। প্যানেলের অন্য সদস্য হলেন- বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ। ট্রাইব্যুনালে গতকাল শাহবাগ থানার তৎকালীন পরিদর্শক (অপারেশন) মো. আরশাদ হোসেনের পক্ষে সাক্ষ্য দেন জুয়েল মাহমুদ। তিনি ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহিদ মিনারে অংশ নেন বলে জানিয়েছেন। একইসঙ্গে পুলিশ পরিদর্শক আরশাদ হোসেনের সঙ্গে তার দেখা হয়। এছাড়া সরকার পতনের খবরও জানানো হয় তাকে।

এর আগে, ৮ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনালে নিজের পক্ষে নিজেই সাফাই সাক্ষ্য দেন আরশাদ হোসেন। জবানবন্দিতে জুলাই-আগস্ট আন্দোলন ঘিরে নিজের সরকারি দায়িত্ব পালন ও চানখারপুলে কোনো ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করেননি বলে জানিয়েছেন তিনি। এছাড়া ওই দিন জবানবন্দি দিয়েছেন মো. সোলাইমান। সবমিলিয়ে আরশাদসহ তিনজন সাফাই সাক্ষ্য দিয়েছেন। তাদের জেরা শেষে যুক্তিতর্কের জন্য ১৫ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল। ওই দিন প্রথমে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করবে প্রসিকিউশন।

ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলামসহ অন্যরা। এছাড়া আরশাদের আইনজীবী সাদ্দাম হোসেন অভিসহ অন্যান্য আসামির আইনজীবীরা ছিলেন। গত ৩০ নভেম্বর আরশাদ হোসেনের পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য নেওয়ার আবেদনের ওপর শুনানি করেন আইনজীবী অভি। পরে তার আবেদন মঞ্জুর করে তিনজন সাফাই সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়ার অনুমতি দেন ট্রাইব্যুনাল। গত ২৭ নভেম্বর এ আবেদন করেন তিনি। ওই দিন এ মামলায় ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ আট আসামির বিরুদ্ধে মূল তদন্ত কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলামের জেরা শেষ করেন স্টেট ডিফেন্স ও আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। ১৯ নভেম্বর টানা তৃতীয় দিনের মতো তার সাক্ষ্য সম্পন্ন হয়। জবানবন্দি শুরু হয় ১২ নভেম্বর। সাক্ষ্যে গত বছরের ৫ আগস্ট চানখারপুলে ছয়জনকে হত্যার পেছনে নিজের করা তদন্তের আদ্যোপান্ত উপস্থাপন করেন তিনি। জব্দকৃত সব তথ্যপ্রমাণাদি নিয়েও বর্ণনা দেন। এরপর জেরা শুরু করেন স্টেট ডিফেন্স ও আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। সবমিলিয়ে ২৩ কার্যদিবসে ২৬ সাক্ষীর সাক্ষ্য-জেরা নেন ট্রাইব্যুনাল। এ মামলার গ্রেপ্তার চার আসামি হলেন- শাহবাগ থানার সাবেক পরিদর্শক (অপারেশন) মো. আরশাদ হোসেন, কনস্টেবল মো. সুজন মিয়া, মো. ইমাজ হোসেন ইমন ?ও মো. নাসিরুল ইসলাম। পলাতক আসামিরা হলেন- সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, ডিএমপির সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, রমনা অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহ আলম মো. আখতারুল ইসলাম ও রমনা অঞ্চলের সাবেক সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ ইমরুল। চলতি বছরের ১৪ জুলাই আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত