
চব্বিশের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আইনি লড়াইয়ে বিদেশি আইনজীবী চেয়েছেন।
গতকাল বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের বিচারিক প্যানেলে তাদের পক্ষে এ আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী। অপরদিকে এই মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের ওপর শুনানির জন্য সময় চান চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। পরে আগামী ১৭ ডিসেম্বর দিন ধার্য করা হয়।
এদিকে গতকাল সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হকের পক্ষে শুনানি করেন মনসুরুল হক চৌধুরী। শুনানির শুরুতে তাদের পক্ষে বিদেশি আইনজীবী নিয়োগ দিতে ট্রাইব্যুনালের অনুমতি চান তিনি। ট্রাইব্যুনাল এ বিষয়ে পরে আদেশ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন। এ সময় প্রসিকিউশন ও আসামিপক্ষের মধ্যে যুক্তিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। পরে আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী বলেন, বিদেশি আইনজীবী নিয়োগ করতে হলে ট্রাইব্যুনালের অনুমতি নিতে হয়। পরে বার কাউন্সিলে আবেদন করতে হয়। তাদের অনুমতি পেলে আইনজীবী নিয়োগে কোনো বাধা থাকবে না। ট্রাইব্যুনালে আমরা সেই দরখাস্ত করার পর আপত্তি দিয়েছে প্রসিকিউশন। আইনের ব্যাখ্যা শুনেছেন আদালত। আইন পর্যালোচনা করে পরবর্তী পর্যায়ে ট্রাইব্যুনাল আদেশ দেবেন। গত ৪ ডিসেম্বর এই মামলায় তাদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। পরে ট্রাইব্যুনাল-১ অভিযোগ আমলে নেয়।
প্রসিকিউশন জানায়, জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানের সময় আনিসুল হক ও সালমান এফ রহমানের মধ্যে ফোনালাপের একটি অডিও তাদের হাতে এসেছে। এতে কারফিউ চলাকালে আন্দোলনকারীদের ‘শেষ করে দিতে হবে’ বলে মন্তব্য করেন তারা। ওই বক্তব্যের পর ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে তাদের হত্যা করা হয়। প্রসিকিউশনের দাবি, এই বক্তব্য হত্যাকাণ্ডে সরাসরি উসকানি হিসেবে কাজ করেছে।
গত বছরের ১৩ আগস্ট গ্রেপ্তার হন সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হক। এরপর থেকেই তারা কারাগারে আছেন।