ঢাকা শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা

পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা

অনেক ধরনের ফল আছে, প্রতিটিরই আলাদা আলাদা গুণ রয়েছে। কেউ কলা, কেউ আপেল, কেউ কমলালেবু অথবা আঙুর ফল খুব পছন্দ করেন। আবার কেউ পেঁপে পছন্দ করেন। আর পেঁপে এমন একটি ফল, যা বেশিরভাগ মানুষ বিশেষ করে কিশোর ও শিশুরা এড়িয়ে চলে। কিন্তু আপনি জানেন কি- প্যাপেইন প্রোটিন ভাঙতে সাহায্য করে এবং হজমে সহায়তা করে থাকে পেঁপে। এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ফাইবার এবং প্যাপেইন নামক একটি এনজাইম। তবে প্রশ্ন উঠেছে- রাতে পেঁপে খাওয়া ভালো নাকি দিনে। কোনটি বেশি উপকারী? এটি নিয়ে বিতর্ক থাকলেও সেই সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক কোনো প্রমাণ নেই। বিশেষজ্ঞের একাংশের মতে, রাতে পেঁপে খাওয়া ভালো। এতে হজমে সাহায্য করে। এটি বেশ হালকা এবং রাতে একটি স্বাস্থ্যকর খাবার হিসাবে খাওয়া যেতে পারে।

তবে রাতে পেঁপে খেলেও খুব সীমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত। মোটামুটি ১০০ থেকে ১৫০ গ্রাম। আর যদি আপনার পেটের কোনো সমস্যা, যেমন- বদহজম, পেটফাঁপা, গ্যাস, খাদ্য সংবেদনশীলতা বা ল্যাটেক্স অ্যালার্জির সমস্যা না থাকে, তাহলে রাতে পেঁপে খেতে পারেন। তবে পরিমাণমতো খাবেন। কারণ রাতে বেশি পরিমাণে পেঁপে খেলে কিছু লোকের জন্য ক্ষতিকারকও হতে পারে।

পেঁপে স্বাস্থ্যকর খাবার। পরিমাণমতো ও সঠিক সময়ে পেঁপে খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। তবে গর্ভবতী নারীদের জন্য, যাদের হজমের সমস্যা আছে অথবা যারা নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ সেবন করেন, তাদের জন্য পেঁপে খাওয়া ক্ষতিকারক। অতএব যদি কেউ পেঁপে খাওয়ার পর অস্বস্তি অনুভব করেন, তাহলে অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত।

আর পেঁপেতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে, যা অক্সালেট তৈরি করতে পারে। অক্সালেট ক্যালসিয়ামের সঙ্গে মিশে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়, তাই এই ব্যক্তিদের পেঁপে খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত।

এছাড়া ডায়বেটিসে পেঁপে খাওয়া যায় কি না, তা নিয়েও একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। পেঁপে সাধারণত ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য নিরাপদ যখন মাঝারি পরিমাণে খাওয়া যায়। এর গ্লাইসেমিক সূচক কম হওয়ায় এটি রক্তে শর্করার দ্রুত বৃদ্ধি ঘটায় না। পেঁপের ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। তবে যে কোনো ফলের মতো, খুব বেশি খাওয়া রক্তে শর্করার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত