
ময়মনসিংহের ভালুকায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে পোশাক কারখানার শ্রমিক দিপু চন্দ্র দাসকে (২৭) পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শনিবার রাতে ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল রোববার তাঁদের আদালতে উপস্থাপন ও রিমান্ডের আবেদন জানানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন আশিকুর রহমান (২৫) ও কাইয়ুম (২৫)। তাঁদের বাড়ি ভালুকা উপজেলার জামিরদিয়া ডুবালিয়াপাড়া এলাকায়। এর আগে এ ঘটনায় পৃথকভাবে অভিযান চালিয়ে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব ও পুলিশ। নিহত দিপু চন্দ্র দাস ভালুকার জামিরদিয়া ডুবালিয়াপাড়া এলাকার পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস (বিডি) লিমিটেডের কারখানার শ্রমিক ছিলেন। তিনি তারাকান্দা উপজেলার বানিহালা ইউনিয়নের মোকামিয়াকান্দা গ্রামের রবি চন্দ্র দাসের ছেলে। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গত শুক্রবার তাঁর ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ১৪০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।
ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, গ্রেপ্তার দুজন ঘটনার সময় সেখানে ছিলেন। ভিডিও দেখে তাঁদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হবে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগ তুলে গত বৃহস্পতিবার রাতে পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস (বিডি) লিমিটেড কারখানার কর্মী দিপু চন্দ্র দাসকে কারখানা থেকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। একপর্যায়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বিভাজকের একটি গাছে বিবস্ত্র করে ঝুলিয়ে মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় গত শনিবার র্যাবের সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ঘটনার সূত্রপাত হয় বৃহস্পতিবার বিকেল চারটার দিকে। কারখানার ফ্লোর ইনচার্জ তাঁকে (দিপু) চাকরি থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করে উত্তেজিত জনতার কাছে হস্তান্তর করেন। ধর্ম অবমাননার বিষয়টি খুবই অস্পষ্ট। তিনি (দিপু) কী বলেছেন, এটি খোঁজার চেষ্টা করলেও কেউ এটি বলতে পারেননি। কারও সঙ্গে পূর্বশত্রুতা ছিল কি না, সেটি তদন্ত করে দেখা হবে। ঘটনার সূত্রপাত কার সঙ্গে হয়েছে, সেটি শনাক্ত করা যায়নি।