
গত বছরের জুলাইতে সরকারি চাকরিতে কোটা বিরোধী আন্দোলনে যোগ দেওয়ায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরে এক গৃহিনীর বাসায় প্রবেশ করে তাদের মারধর, শ্লীলতাহানি ও বাসার মূল্যবান জিনিসপত্র চুরির অভিযোগে করা মামলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের মহানগরীর মোহাম্মদপুর থানা শাখার সভাপতি নাঈমুল ইসলাম রাসেলসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছেন পুলিশ। মামলার চার্জশিটভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন- মোহাম্মদপুরের ছাত্রলীগ নেতা রাসেল, মো. ফয়সাল আলম সানি, আকাশ দেওয়ান, মো. হাসান, শামীম, মির্জা ইমন, মো. মোহন সরদার, আসাদ, দ্বীন ইসলাম, মো. পারভেজ আহমেদ, মো. অনিক ও শেখ জসিম।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার এসআই আক্কাস আলী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তদন্ত শেষ করে গত ৩০ এপ্রিল আদালতে মামলার চার্জশিট দাখিল করেছি। চার্জশিটে সাক্ষী করা হয়েছে সাতজনকে। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, মামলার বাদী বেবী একজন গৃহিণী। বাদিনীর মেয়ে সুরাইয়া আক্তার শ্রাবণ ভার্সিটিতে লেখাপড়া করেন। গত বছরের ১৯ জুলাই সরকারি চাকরিতে কোটা বিরোধী আন্দোলনকারী লোকজন এলাকায় আন্দোলন করতে থাকে। বাদিনীর ছেলে ও মেয়ে ছাত্র আন্দোলনে যোগ দেওয়ায় মোহাম্মদপুর থানার ছাত্রলীগ সভাপতি নাঈমুল ইসলাম রাসেলসহ তার লোকজন তাদের বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি হুমকি দেখায়। গত বছরের ২১ জুলাই বাদিনীর মোহাম্মদপুর থানার শেরশাহ শুরী রোডস্থ বাসায় আসামিরা এসে তাদের আন্দোলনে যোগদানের কারণ জানতে চায়। বাদিনী ও তার মেয়ে প্রতিবাদ করলে আসামিরা বাদিনী ও তার মেয়েকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি মারে শরীরে জখম করে। আসামিরা বাদিনী ও তার মেয়ের গায়ে হাত দিয়ে ও পরনের জামা কাপড় টানাটানি করে শ্লীলতাহানি করে।