
চট্টগ্রাম নগরে চলছে প্রায় ৪০০ কোচিং সেন্টার, অথচ বৈধ ট্রেড লাইসেন্স রয়েছে মাত্র ১২০টির। শিক্ষার্থী ভর্তি করে বাণিজ্যিকভাবে পরিচালিত এসব প্রতিষ্ঠানকে এবার নীতিমালার আওতায় আনতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। নগর ভবনে ‘দৃশ্যদূষণ প্রতিরোধ ও সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক’ এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা জানান সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, কোচিং সেন্টার এখন একটি প্রতিষ্ঠিত ব্যবসা খাত। তাই নিয়মণ্ডকানুন মেনে চলা তাদের জন্য বাধ্যতামূলক। যাদের ট্রেড লাইসেন্স নাই, তারা দ্রুত লাইসেন্স নেবেন। আর যাদের মেয়াদ শেষ, তারা নবায়ন করবেন। সভায় মেয়র জানান, অনুমতিহীন পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন ও সাইনবোর্ডে নগরের সৌন্দর্য নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি রাজস্ব ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তিনি বলেন, চকবাজার ও আশপাশের এলাকাকে ‘ক্লিন, গ্রিন অ্যান্ড হেলদি জোনে’ রূপান্তর করা হবে। এজন্য এলাকা থেকে যত্রতত্র পোস্টার-ব্যানার সরিয়ে ডিজিটাল বোর্ড ও এলইডি স্ক্রিনে বিজ্ঞাপন প্রচারের পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। সভায় জানানো হয়, নগরের কোচিং সেন্টারগুলোর প্রায় ৮০ শতাংশই অনুমতি ছাড়াই বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। মাত্র ২০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান নিয়ম মেনে বিজ্ঞাপনের অনুমতি নেয়। অথচ মাত্র এক-দুই হাজার টাকা কর দিলেই এসব সাইনবোর্ড বৈধ হতো। সভায় সিটি কর্পোরেশনের রাজস্ব কর্মকর্তারা জানান, নগরের কোচিং সেন্টারগুলোর প্রায় ৮০ শতাংশ অনুমতি ছাড়াই বিজ্ঞাপন ও পোস্টার ঝুলিয়ে রাখছে। মাত্র ২০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান বিজ্ঞাপনের অনুমতি নেয়। এতে বিপুল রাজস্ব হারাচ্ছে সিটি কর্পোরেশন। অথচ একটি সাইনবোর্ডের জন্য মাত্র এক-দুই হাজার টাকার কর দিলেই হতো। এ অনিয়ম বন্ধে সংশ্লিষ্টদের সচেতনতা ও সহযোগিতা প্রয়োজন। সভায় চট্টগ্রাম কোচিং অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবু তাহের, সাধারণ সম্পাদক আবদুর রউফ সোহেল, রাজস্ব কর্মকর্তা সাব্বির রহমান সানি, বিভিন্ন কোচিং সেন্টারের প্রতিনিধি এবং গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।