
রাজধানীর মিরপুরে শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী-সমর্থকদের হামলায় ছয় সাংবাদিক আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সেইসঙ্গে ক্যামেরা ভাঙচুর করা হয়েছে। শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় এ হামলা চালানো হয়।
আহত সাংবাদিকরা হলেন- দৈনিক যুগান্তরের স্টাফ রিপোর্টার ও মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (এমআরএ) সভাপতি ফখরুল ইসলাম, সময়ের আলোর রিপোর্টার মাহবুব আলম শ্রাবণ, জাগো নিউজের রিপোর্টার রাকিব হাসান ও ভিডিও জার্নালিস্ট শাহরিয়ার রাকিব, বাংলা নিউজের রিপোর্টার সাইমুম মুবিন পল্লব এবং ঢাকা পোস্টের মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার মাহমুদ আল মামুন মারুফ।
ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা জানান, স্মৃতিসৌধে ফুল দেওয়ার সময় স্বেচ্ছাসেবক দলের সোহাগ নামের এক কর্মী সাংবাদিকদের সামনে দাঁড়িয়ে ফুটেজ ধারণে বাধা সৃষ্টি করেন। এ সময় তাকে সরে দাঁড়ানোর অনুরোধ করলে তিনি তা উপেক্ষা করে দুর্ব্যবহার শুরু করেন। একপর্যায়ে সোহাগ ও তার সঙ্গীরা হামলা করে ফটো জার্নালিস্ট ডালিমের ক্যামেরা ভেঙে ফেলেন।
হামলায় আহত ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার শার্ট ধরে টেনে-হিঁচড়ে সব ডিভাইস ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। আমরা পেশাগত দায়িত্ব পালন করছিলাম। তখন আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে।’
আরেক আহত মাহবুব আলম শ্রাবণ বলেন, ‘ফখরুল ইসলামের ওপর হামলার পর আমরা প্রতিবাদ জানাতে যাই। সঙ্গে সঙ্গে সোহাগ আমার ওপর হামলে পড়ে।’ ঘটনার পর স্বেচ্ছাসেবক দলের স্থানীয় নেতা হাফিজ দুঃখ প্রকাশ করেন। সেই সঙ্গে তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দেন। এ হামলার ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে এমআরএ। সংগঠনটির সেক্রেটারি আক্তারুজ্জামান এক বিবৃতিতে বলেন, ‘সন্ত্রাসী কায়দায় কোনো দলের কর্মী সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালাতে পারে না। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আনতে হবে। ভবিষ্যতে যেন সাংবাদিকদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয়, তা নিশ্চিত করা সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক সংগঠনের দায়িত্ব।’