
যথাযোগ্য মর্যাদা এবং উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস ২০২৫ উদযাপিত হয়েছে। সারা দেশের মতো মহানগরীগুলোর বিভিন্ন স্থানে এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিবসটি উদযাপিত হয়। অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল শহিদ স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে জাতির মহান বীরদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন এবং আলোচনা সভা। এসব অনুষ্ঠানে দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে গণতান্ত্রিক ধারাকে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় : কর্মসূচির মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার ভোরে উপাচার্য ভবনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলোতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, স্মৃতি চিরন্তন চত্বরে জমায়েত এবং উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদসহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া, বিভিন্ন আবাসিক হলে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চিত্র প্রদর্শনী, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে কলা ভবন, কার্জন হল, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র ও স্মৃতি চিরন্তনসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আলোকসজ্জা করা হয়। বাদ আসর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ মসজিদুল জামিয়াসহ বিভিন্ন হল এবং আবাসিক এলাকার মসজিদে শহিদদের রুহের মাগফেরাত কামনা এবং দেশের সমৃদ্ধি ও উন্নতির জন্য দোয়া করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য উপাসনালয়ে শহিদদের আত্মার শান্তির জন্য বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। এছাড়া, দিবসটি উপলক্ষে সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগ, নৃত্যকলা বিভাগ এবং থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের যৌথ ব্যবস্থাপনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হবে।
চট্টগ্রাম : নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট চট্টগ্রামে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের হাতে ক্রেস্ট, সম্মাননা সনদ ও সম্মানীর অর্থ তুলে দেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। এর আগে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন ডিসি পার্কের দক্ষিণ পাশে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন বীর মুক্তিযোদ্ধারাই জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়েই আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল একটি স্বপ্ন নিয়ে- সমতা, ন্যায়বিচার, মানবিক মর্যাদা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন। মুক্তিযোদ্ধারা কখনও ভাতা বা ব্যক্তিগত প্রাপ্তির কথা চিন্তা করেননি। তারা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন কেবলমাত্র এই দেশকে স্বাধীন করার জন্য। স্বাধীন হওয়া এদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
চসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব মো. আশরাফুল আমিনের সভাপতিত্বে মুক্তিযুদ্ধের সৃতিচারণ ও আলোচনা করেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা একরামুল করিম, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ সংসদের আহ্বায়ক কমান্ডার শাহাবুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব হোসেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজল বারিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, থিয়েটার ইন্সটিটিউটের পরিচালক অভীক ওসমান, শহিদ আবুল মনসুরের ভাই ডা. রকিবুল্লাহ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য, সিটি কর্পোরেশনের বিভাগীয় ও শাখা প্রধান, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া বলেছেন, বিজয় একটি জাতির আত্মপরিচয়। ১৬ ডিসেম্বর এই দিনটি কেবল একটি ঐতিহাসিক তারিখ নয় বরং এটি একটি জাতির আত্মপরিচয় পুনরুদ্ধারের দিন। পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে একটি নিপীড়িত জাতির মুক্ত আকাশে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর দিন আজ। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। সবাই মিলে শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে হবে। নতুন প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ, মানবিক ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলার সম্মিলিত অঙ্গীকার থাকতে হবে। চুয়েটের একাডেমিক কাউন্সিল কক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম। আরও বক্তব্য রাখেন ডিনদের পক্ষে পুর ও পরিবেশ কৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আসিফুল হক, পরিচালকদের পক্ষে গবেষণা ও সম্পসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. সজল চন্দ্র বনিক, প্রভোস্টদের পক্ষে মুক্তিযোদ্ধা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড বিপুল চন্দ্র মন্ডল, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. জি এম সাদিকুল ইসলাম, চুয়েট কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি প্রকৌশলী সৈয়দ মোহাম্মদ ইকরাম প্রমুখ। শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন সহকারে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনব্যাপী কর্মসূচির সূচনা করেন উপাচার্য মহোদয়। এরপর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
রংপুর : দিবসটি উপলক্ষে সুর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ লাইন্স মাঠে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিনের কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়। এরপর রংপুর টাউন হল ‘ কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে’ শহিদদের স্মরণে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা শুরু হয়। শহিদ মিনারে প্রথমে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার মো. শহিদুল ইসলাম। এরপর পর্যায়ক্রমে শ্রদ্ধা জানান রংপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আশরাফুল ইসলাম, রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আমিনুল ইসলাম, মেট্রোপলিটন পুলিশের পুলিশ কমিশনার মজিদ আলী, জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল আহসান এবং পুলিশ সুপার মারুফাত হুসাইন। এছাড়াও, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জেলা ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আনছার আলী, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) পক্ষে অধিনায়ক, আনসার ও ভিডিপির জেলা কমান্ডার, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড ইউনিট এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তারা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তর, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনগুলোও পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহিদদের স্মরণ করে। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দিবসটি উপলক্ষে সকাল ৯ টায় রংপুরের শহিদ আবু সাঈদ স্টেডিয়ামে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। একই স্থানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে সমাবেশ, সুশৃঙ্খল কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রদর্শিত হয়। দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
ছাত্র অধিকার পরিষদ : মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি নাজমুল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক সানাউল্লাহ হকের নেতৃত্বে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় বীর শহিদদের স্মরণে তারা বিভিন্ন স্লোগান দেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি নাজমুল হাসান বলেন, ১৬ ডিসেম্বর গর্ব, আত্মত্যাগ ও বাংলাদেশের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জনের দিন। মহান মুক্তিযুদ্ধের শহিদ বীরদের প্রতি বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা রইল। বিজয়ের চেতনায় উদ্ভাসিত হয়ে একটি ন্যায্য, মানবিক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, গভীর উদ্বেগের বিষয় এই যে, বিজয়ের ৫৫ বছরে এসেও মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে কটূক্তি করতে দেখা যায়। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানকে ধারণ করেই বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সিনিয়র সহ-সভাপতি নেওয়াজ খান বাপ্পি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক মাহতাপ ইসলাম, সাবেক সহ-সভাপতি জিসান আহমেদ বিপু, আশিক শিশির, সোহাগ বাদশা, তাহসান খান শান্ত, সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পারভেজ মাহমুদ, নজরুল করিম সোহাগ, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রোকেয়া জাবেদ মায়া, জিহাদুল ইসলাম ইউসুফ, সাবেক দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মাদ আলী ত্বোহা, সাবেক অর্থ সম্পাদক প্রিয়ম আহমেদ। আরও উপস্থিত ছিলেন- রবিন হোসেন নিলয়, সাদমান ইসলাম পলাশ, মেহরাফ হোসেন মেহেদী, তানভীর আহমেদ, নোমান মুন, মাসুদ রানা, মুজাহিদ মিজান, হাদিব মল্লিক, আরাফাত হোসেন, নাহিদ আলম, রাহাত হোসেন, ওয়ালিউল্লাহ প্রমুখ।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় : যথাযোগ্য মর্যাদা ও বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) গতকাল মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে একটি শোভাযাত্রা বের হয়ে শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়।
খুবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে সর্বপ্রথম কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণ করেন। শ্রদ্ধা নিবেদনকালে উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হারুনর রশীদ খান, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. নূরুন্নবী, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), ছাত্র বিষয়ক পরিচালক ও প্রভোস্ট উপস্থিত ছিলেন। পরে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল, বিভিন্ন অনুষদ, বিভাগ, প্রভোস্ট কাউন্সিল, বিভিন্ন দপ্তর, অফিসার্স কল্যাণ পরিষদ এবং শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে পর্যায়ক্রমে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মীদের পাশাপাশি বিএনসিসি, আর্মি, নেভাল ও এয়ার উইংয়ের সদস্যরা শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করেন। দিবসের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, বিকাল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মুক্তমঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী। এছাড়া রাতে আবাসিক হলগুলোতে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে। দিবসটি উপলক্ষে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক, সড়ক, বিভিন্ন ভবন, আবাসিক হল ও অন্যান্য স্থাপনা দৃষ্টিনন্দন আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে।