
রাজশাহী মহানগর ও আশপাশের উপজেলার বাজারগুলোতে কমতে শুরু করেছে শীতকালীন সবজির দাম। পর্যাপ্ত শীতকালীন সবজি বাজারে সরবরাহের কারণে কমছে দাম। এতে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন ক্রেতারা। তবে এর আগে শীতের সবজি বাজারে আসলেও দাম ছিল চড়া। এ কারণে বিপাকে পড়েছিলেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা। তবে দাম কিছুটা কমলেও তুলনামূলক এখনও বেশি রয়েছে বলে দাবি ক্রেতাদের।
জানা গেছে, চলতি বছরের অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকেই শীতকালীন সবজি বাজারে আসা শুরু করে। চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত দাম ছিল চড়া। এ কারণে শীত আসলেও শীতকালীন সবজির ধারে কাছেও যেতে পারছিলেন না ক্রেতারা। এ নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে ক্ষোভ ছিল ব্যাপক।
এখন দাম কমায় ক্রেতারা কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে। গতকাল সোমবার নগরের অন্যতম লক্ষীপুর কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, দোকানে দোকানে শীতকালীন সবজিতে ভরপুর। আগের মতো আকাশছোঁয়া দাম নেই। ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২০-২৫ টাকায়, বাঁধাকপি ২০-২৫ টাকা পিস ও বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা, টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৫০-১০০ টাকা কেজি। এছাড়া জাত ও রং ভেদে শাক বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকা কেজি পর্যন্ত।
তবে কিছু কিছু শাকের দাম বেশি রয়েছে। করলা বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা কেজি, মিষ্টি কুমড়া ৩৫-৪০ টাকা কেজি, লাউ ধরনভেদে ২৫-৩০ টাকা পিস, পেঁয়াজের ফুলকা বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা কেজি, মটরশুঁটি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি, নতুন আলু ৩০-৪০ টাকা কেজি এবং পুরাতন আলু ২০-২৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রত্যেকটি সবজি বিক্রি হচ্ছে এখন আগের থেকে প্রায় অর্ধেক দামে। যদিও এই ভরা মৌসুমে বিগত বছরগুলোতে সবজির দাম ছিল আরও কম। সবজি কিনতে আসা মাহমুদুল নামের একব্যক্তি বলেন, শীতকালীন সবজির দাম এতদিনে কমল। কিন্তু এই সবজির দাম আর কম হওয়া উচিত ছিল। তারপরও এখন কমেছে, কিনতে খুব বেশি অসুবিধা হচ্ছে না। আব্দুল্লাহ নামের অন্য একব্যক্তি বলেন, এখন বাজারে টমেটোসহ কয়েক প্রকার সবজির দাম কিছুটা বেশি রয়েছে। আরও কমলে কিনতে ভালো লাগবে।
শুধু লক্ষ্মীপুর বাজার নয়, নগরের সাহেব বাজার, সাগরপাড়া, কোর্ট স্টেশন, নওদাপাড়া, বউ বাজার ও শালবাগান বাজার ঘুরে একই চিত্র দেখা গেছে। কোট স্টেশন বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. শাওন বলেন, এখন শীতকালীন পর্যাপ্ত সবজি বাজারে আছে।
সরবরাহ আরও বাড়লে দাম কমে যাবে। পাইকারি বাজারি কম দামে কিনতে পারলে আমরাও কম দামে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করতে পারব। এদিকে, শুধু রাজশাহী মহানগরের বাজারগুলোতে নয়, উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারগুলোতেও সবজির দাম কমেছে।