ঢাকা সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

মুনশি মুহাম্মদ উবাইদুল্লাহ

সাবেক সহকারী মুফতি গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসা, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ
মুনশি মুহাম্মদ উবাইদুল্লাহ

প্রশ্ন : প্রতি বৃহস্পতিবার রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে উম্মতের আমল পেশ করা হয়?

উত্তর : ‘প্রত্যেক বৃহস্পতিবার রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে তার উম্মতের আমল পেশ করা হয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) উম্মতের নেক আমল দেখে খুশি হন, আর বদ আমল দেখে অসন্তুষ্ট হন’ এ মর্মে কোনো সহিহ বর্ণনা পাওয়া যায় না। তবে জুমার রাতে সব নবীর কাছে তাদের জাতির ও পিতামাতার কবরে তাদের সন্তানদের আমল দেখানো হয় মর্মে হাকিম তিরমিজি (রহ.) তার রচিত ‘নাওয়াদিরুল উসুল’ নামক কিতাবে একটি বর্ণনা এনেছেন। একই বর্ণনা আল্লামা জালালুদ্দিন সুয়ুতি (রহ.) তার কিতাব ‘শরহুস সুদুর’ নামক কিতাবের ১৭৮ ও ২৭৫ নং পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেছেন। তা ছাড়া ‘কানজুল উম্মাল ফি সুনানিল আকওয়াল’ নামক হাদিসের কিতাবেও এ মর্মে হাদিস রয়েছে। এ বর্ণনাগুলো সনদের দিক বিবেচনায় ততটা শক্তিশালী নয়, যার ওপর এ আকিদা পোষণ করা যায় যে, রাসুলুল্লাহ (সা.) ও অন্যান্য নবীর কাছে সত্যিই আমল উপস্থাপন করা হয়। তা ছাড়া এসব বর্ণনাতে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে অন্যান্য নবী ও মাতাপিতার কথাও এসেছে। যেহেতু সহিহ বর্ণনা দ্বারা এর প্রমাণ নেই, তাই এটি বিশ্বাস করা জরুরি নয়। অস্বীকার করারও কোনো প্রয়োজন নেই। অবশ্য প্রতি বৃহস্পতিবার আল্লাহর সামনে বান্দার নেক ও বদ আমল দায়িত্বশীল ফেরেশতারা পেশ করে থাকেন মর্মে সহিহ হাদিসে এসেছে। এজন্যই রাসুলুল্লাহ (সা.) বৃহস্পতিবার রোজা রাখতেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত; রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘সোম ও বৃহস্পতিবার আমল উপস্থাপন করা হয়। আমি এটা পছন্দ করি, আমার আমল আমার রোজা অবস্থায় উপাস্থিত হোক।’ (তিরমিজি : ৭৪৭)। এ হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে উপস্থাপনের কথা বলা হয়নি। তার আমল তার নিজের কাছে উপস্থাপন করার কোনো অর্থ হয় না। অর্থাৎ আল্লাহর কাছে আমল উপস্থাপন করা হয়। (ফতোয়ায়ে মাহমুদিয়া : ৭/৩৭২-৩৭৪)।

প্রশ্ন : যে নারীর একাধিক বিয়ে হয়েছে। জান্নাতে যাওয়ার পর তার স্বামী কে হবে? আর যদি কোনো নারী বিয়ে ছাড়াই মারা যায়, তাহলে তার স্বামী কে হবে?

উত্তর : যে নারীর স্বামী একাধিক, জান্নাতে তার স্বামী কে হবে, এ ব্যাপারে দুটি বক্তব্য পাওয়া। যথা- এক. সর্বশেষ স্বামী পাবে। দুই. ইচ্ছাধিকার দেওয়া হবে; যাকে ইচ্ছে স্বামী হিসেবে গ্রহণ করতে পারে। আর যে নারী বিয়ে ছাড়াই মারা গেছে, তাকে ইচ্ছাধিকার দেওয়া হবে- দুনিয়ার যেসব পুরুষ বিয়ে ছাড়া মারা গেছে, তাদের মাঝে যাকে ইচ্ছে তাকে স্বামী হিসেবে গ্রহণ করতে পারবে। আর যদি কাউকেই পছন্দ না হয়, তাহলে হুরদের মধ্য থেকে একজনকে পুরুষ হিসেবে সৃষ্টি করে তার স্বামী বানিয়ে দেওয়া হবে। (মাজমুআতুল ফাতাওয়া : ৩/১৫, ফতোয়ায়ে মাহমুদিয়া : ৩/৪৩০-৪৩১)।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত