ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

বিদেশ ভ্রমণে ‘ডুয়েল কারেন্সি কার্ড’

বিদেশ ভ্রমণে ‘ডুয়েল কারেন্সি কার্ড’

ক্যাশলেস লেনদেনের জনপ্রিয়তা এখন তুঙ্গে। দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে একই কার্ড দিয়ে এখন দেশের বাইরেও অর্থনৈতিক লেনদেন সম্ভব। প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে আর্থিক খাতেও এসেছে বিপ্লব, যার অন্যতম উদাহরণ হলো, ‘দ্বৈত মুদ্রার ডেবিট কার্ড’ বা ‘ডুয়েল কারেন্সি কার্ড’। এটি এমন একটি কার্ড, যার সাহায্যে একই সঙ্গে দেশীয় এবং বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেনের সুযোগ রয়েছে। ফলে এই কার্ডের মাধ্যমে বিদেশ ভ্রমণের সময় নগদ অর্থ বহনের ঝামেলা ছাড়াই কেনাকাটা, হোটেল বুকিং, রেস্তোরাঁয় বিল পরিশোধ, এমনকি এটিএম থেকে টাকা উত্তোলন সম্ভব। দেশের বাইরে ভ্রমণের সময় নগদ অর্থ বহন করা যেমন ঝুঁকিপূর্ণ, তেমনি বিদেশে গিয়ে বারবার মুদ্রা বিনিময়ের কাজটিও বেশ ঝামেলার। এই দুটি সমস্যার সহজ সমাধান হয় বলে অনেক ভ্রমণকারীর পছন্দের শীর্ষে রয়েছে ডুয়েল কারেন্সি কার্ড।

কীভাবে কাজ করে : ডুয়েল কারেন্সি কার্ড এমন বিশেষ ধরনের কার্ড, যার সাহায্যে একই সঙ্গে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক মুদ্রায় লেনদেন সম্ভব। উদাহরণস্বরূপ, বাংলাদেশে থাকলে এই কার্ডের মাধ্যমে টাকায় যেমন লেনদেন করা যাবে, তেমনি স্থানীয় মুদ্রা স্বয়ংক্রিয়ভাবে অন্য যেকোনো দেশের স্থানীয় মুদ্রায় রূপান্তরিত করে লেনদেন করা যাবে। ফলে দেশের বাইরে নগদ ডলার কিংবা ইউরো বহনের প্রয়োজন পড়ে না, বরং সরাসরি কার্ড ব্যবহার করেই সব ধরনের লেনদেন সম্পন্ন করা যায়। অধিকাংশ ব্যাংক এই কার্ডগুলো ভিসা ও মাস্টারকার্ড নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পরিচালনা করে, যা বিশ্বের প্রায় সব দেশেই গ্রহণযোগ্য।

যেসব ব্যাংকের কার্ডে এই সুবিধা পাবেন : বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি ব্যাংক গ্রাহকদের জন্য ডুয়েল কারেন্সি কার্ড চালু করেছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো ইস্টার্ণ ব্যাংক, মেঘনা ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক ও ব্র্যাক ব্যাংক। এই ব্যাংকগুলো কার্ডের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক লেনদেন যেমন সহজ করেছে, তেমনি গ্রাহকদের জন্য যোগ করেছে বাড়তি সুবিধাও, যেমন বিশেষ ছাড়, ক্যাশব্যাক অফার ইত্যাদি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত