মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি কামরান টি রহমান বলেছেন, প্রতিবছর দেশের লেবার মার্কেটে ২০ থেকে ২৫ লাখ মানুষ যুক্ত হচ্ছে যাদের আমরা কর্মসংস্থানের সুযোগ দিতে পারছি না।
ফলে তারা ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্টে যাচ্ছে। তাদের বেশির ভাগই অদক্ষ। ফলে অন্য দেশের শ্রমিকদের তুলনায় তাদের বেতন তুলনামূলক কম হয়। তাই আমাদের শিক্ষা কারিকুলাম পুনর্বিবেচনা করা উচিত। গতকাল মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ের বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, বাংলাদেশ আয়োজিত ‘জাতীয় এসডিজি রিপোর্ট (ভিএনআর) ২০২৫ ও ব্যক্তিখাতের উদ্যোক্তাদের ভাবনা’ শীর্ষক এক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য প্রদান করেন এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, বাংলাদেশের নেটওয়ার্ক ফোকাল পয়েন্ট তারাননুম জিনান।
কামরান টি রহমান বলেন, বিবিএস লেবার ফোর্স সার্ভে ২০২৩ অনুযায়ী বাংলাদেশের লেবার মার্কেটে সাড়ে ছয় থেকে সাত কোটি মানুষ কাজ করে। এর মধ্যে মাত্র ১ দশমিক ২৫ কোটি ফরমাল সেক্টরে কাজ করে যা মোট সংখ্যার মাত্র ১৫ শতাংশ। যত নীতি নির্ধারণ করা হয় সব ওই ১৫ শতাংশকে কেন্দ্র করে। বাকিরা নীতির বাইরেই থেকে যায়। ২০৩০ সালে আমরা আমাদের মোট এনার্জির ৪০ শতাংশ রিনিউয়েবল করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি।
কিন্তু তার কত শতাংশ করতে পেরেছি? কিছুই না। আমাদের চা শিল্পে অনেক খালি জায়গা পড়ে আছে।
তার ১০ শতাংশে যদি আমরা সোলার প্যানেল বসাতে পারি তাহলে প্রায় ৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব, তিনি বলেন। অনুষ্ঠানে এসডিজি অর্জনে ব্যক্তিখাতের ভূমিকা, চ্যালেঞ্জ ও দুর্বলতা নিয়ে আলোচনা করেন বক্তারা।