বিশ্ববাজারে স¦র্ণের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে দেশেও বাড়ছে। গত তিন দিনে ভরিতে স¦র্ণের দাম বেড়েছে ৪ হাজার ৫০২ টাকা। এতে গতকাল রোববার থেকে ভালো মানের, অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের স¦র্ণের দাম দাঁড়িয়েছে প্রায় ২ লাখ ১৫ হাজার টাকায়।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি গত শুক্রবার স¦র্ণের দাম ভরিতে ১ হাজার ৫০ টাকা এবং আজ থেকে আরও ৩ হাজার ৪৫২ টাকা বাড়িয়েছে। তার মানে তিন দিনে দাম বেড়েছে সাড়ে ৪ হাজার টাকা। তার আগে অবশ্য বিশ্ববাজারে আউন্সপ্রতি স¦র্ণের দাম ৪ হাজার ৩০০ ডলার ছাড়িয়ে যায়।
নতুন দর অনুযায়ী, গতকাল রোববার থেকে হলমার্ক করা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স¦র্ণের দাম ২ লাখ ১৫ হাজার ৫৯৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গতকালও ছিল ২ লাখ ১২ হাজার ১৪৫ টাকা। তার মানে গতকালের চেয়ে আজকে দাম বেড়েছে ৩ হাজার ৪৫২ টাকা। এদিকে হলমার্ক করা ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স¦র্ণের দাম আজ বেড়ে হয়েছে ২ লাখ ৫ হাজার ৮০০ টাকা, যা গতকাল ছিল ২ লাখ ২ হাজার ৪৯৯ টাকা। এ ক্ষেত্রে দাম বেড়েছে ভরিতে ৩ হাজার ৩০১ টাকা।
একইভাবে ১৮ ক্যারেটের দাম বেড়েছে ভরিতে ২ হাজার ৮২৩ টাকা। গতকাল দাম এক ভরির দাম ছিল ১ লাখ ৭৩ হাজার ৫৭২ টাকা। আজকে ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স¦র্ণের দাম বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ৭৬ হাজার ৩৯৫ টাকা। এদিকে সনাতন পদ্ধতির স¦র্ণের দামও আজকে ২ হাজার ৪১৫ টাকা বেড়ে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৮৩৮ টাকা হয়েছে। গতকালের দাম ছিল ১ লাখ ৪৪ হাজার ৪২৪ টাকা।
চলতি বছর বিশ্ববাজারে এখন পর্যন্ত স¦র্ণের দাম প্রায় ৬০ শতাংশ বেড়েছে। এ পরিস্থিতিতে গোল্ডম্যান স্যাকস মনে করছে, পরিস্থিতি এখন এমন পর্যায়ে গেছে যে স¦র্ণের দাম আরও বৃদ্ধির ক্ষেত্রে যে চাহিদা অনেকটা বাড়তে হবে তা নয়; বরং বিনিয়োগকারীরা স্টকে বিনিয়োগের পাশাপাশি কিছু পরিমাণে স¦র্ণ কিনলেই এর দাম অনেকটা বেড়ে যাবে। ফলে বিনিয়োগ যত বেশি বাড়বে, স¦র্ণের দাম তার চেয়েও বেশি হারে বাড়বে।
গোল্ডম্যান স্যাকস আরও বলছে, আগামী বছর স¦র্ণের দাম অতটা বাড়বে না। তবে চলতি বছর যে দুটি কারণে স¦র্ণের দাম বেড়েছে, তা অব্যাহত থাকবে। প্রথমত, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স¦র্ণ কেনার ধারা অব্যাহত থাকবে। দ্বিতীয়ত, ফেডারেল রিজার্ভ এখন নীতি সুদ কমাচ্ছে। ডিসেম্বর মাসেও নীতি সুদহার কমেছে।
ভূরাজনীতিতে যে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে, তাতে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ বিনিয়োগের মাধ্যম খুঁজছেন। সেই সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যেভাবে বাণিজ্যকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন, তাতে বিনিয়োগকারীরা ডলারভিত্তিক বন্ডের চেয়ে স¦র্ণের বিনিয়োগ করা নিরাপদ মনে করছেন।
