
সপ্তাহের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজের আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় খুচরা বাজারে দাম কমতে শুরু করেছে। এতে অনেকটা স্বস্তিতে সাধারণ ক্রেতারা। চলতি সপ্তাহের গত শনিবার ১৮ ট্রাকে ৫৩৮, গত রোববার ২২ ট্রাকে ৬৫৮, গত সোমবার ১৭ ট্রাকে ৫০৮, গত মঙ্গলবার ১৮ ট্রাকে ৫৩৯ মেট্রিক টনসহ চারদিনে ২,২৪৩ মোট মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে।
হিলি বন্দর সূত্রে জানা গেছে, গত সপ্তাহে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভারতীয় ৮টি ট্রাকে ২২৫, রোববার ১০ ট্রাকে ২৯৯, সোমবার ২৩ ট্রাকে ৬৮৬, বুধবার ১৭ ট্রাকে ৫০৯, বৃহস্পতিবার ২২ ট্রাকে ৬৫৯ মেট্রিক টনসহ মোট ২৩৭৮ মেট্রিকটন ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে।
এদিকে গতকাল বুধবার সকালে হিলি খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহে আমদানিকৃত পেঁয়াজ মানভেদে ৯০-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও আজ তা কেজিতে ৪০-৪৫ টাকা কমিয়ে ৪৫-৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর দেশীয় মুড়িকাটা পেঁয়াজ কেজিতে ৪৫- ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রায় তিন মাস পর চলতি মাসের ৭ ডিসেম্বর ভারত থেকে পেঁয়াজের আমদানি শুরু হয়। প্রথম দিকে একজন আমদানি কারককে ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। পরে ৩০ মেট্রিক টন থেকে বাড়িয়ে দেয়। এতে বন্দরে আমদানি বৃদ্ধি পায়। ২৪৫ মার্কিন ডলারে পেঁয়াজগুলো আমদানি করা হচ্ছে।
হিলি বাজারের খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা আবুল হাসান মান্না বলেন, গত মঙ্গলবার বন্দর বাজারে ৩৮-৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রয় হয়েছে। সেই পেঁয়াজ খুচরা বাজারে বিক্রয় হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকা কেজি দরে। দেশি পেঁয়াজ মোকামে বিক্রয় হচ্ছে ১৬০০-১৮০০ টাকা মণে। হিসেব অনুযায়ী যা কেজিতে ৪০-৪৫ টাকা। খুচরা বাজারে বিক্রয় হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা কেজি দরে। দেশীয় ভরা মৌসুম ও পেঁয়াজের ইনপোর্টের কারণে দাম স্বাভাবিক আছে।
অন্য খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা রায়হান কবির জানান, এক সপ্তাহ আগে এলসি পেঁয়াজ আমরা বিক্রয় করেছি ৯০-১০০ টাকা কেজিতে। সেই পেঁয়াজ গেলো দুই তিন দিনে ৩৫-৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রয় হচ্ছে। আর দেশি পেঁয়াজ বিক্রয় করেছিলাম ৮০-৯০ টাকা কেজি। সেই পেঁয়াজ এখন বিক্রয় করছি ৫০ টাকা কেজি দরে।
হঠাৎ দাম কমার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত সপ্তাহে দিনে ৩০ টন পেঁয়াজ আমদানি করার একটা পারমিট ছিল আমদানি কারকের কিন্তু এখন সেটি বাড়িয়েছে। এদিকে দেশীয় কাঁচা পেঁয়াজের চাপ বাড়ছে। কৃষকের পর্যাপ্ত ও ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি বাড়ার কারণে দাম এখন নাগালেই থাকবে।
রিকশা চালক আজমত আলী বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় এখন পেঁয়াজের দাম কিছুটা কম। ভারতীয় পেঁয়াজ ও দেশি পেঁয়াজ প্রায় একই দাম। কেজি প্রতি ৩০ টাকার মধ্যে থাকলে আমাদের জন্য ভালো হয়।