
দেশের উভয় পুঁজিবাজার-ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস গতকাল বুধবার অধিকাংশ শেয়ার ও ইউনিটের দরবৃদ্ধির মধ্য দিয়ে লেনদেন হয়েছে। এতে দুই স্টক এক্সচেঞ্জেই সবগুলো সূচক বেড়েছে। তবে, লেনদেনের পরিমাণ কমেছে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গতকাল বুধবার ডিএসইতে মোট ৩৮৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে।
লেনদেনে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৭৮টির, বিপরীতে ১২৬টির দর কমেছে। আর দিনশেষে ৮৩টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। অধিকাংশ সিকিউরিটিজের দরবৃদ্ধি হওয়ায় গতকাল ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ২৩ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৮৮৪ পয়েন্টে উঠেছে।
অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইর শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ৬ পয়েন্ট বেড়ে ১০০৯ পয়েন্টে এবং ডিএস-৩০ সূচক ৯ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৮৮৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। গতকাল ডিএসইতে ৩৩৮ কোটি ১০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। গতকাল ৪০৭ কোটি ৪১ লাখ টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছিল।
অর্থাৎ দিনের ব্যবধানে এক্সচেঞ্জটির লেনদেন কমেছে ৬৯ কোটি ৩১ লাখ টাকা। দেশের অন্য পুঁজিবাজার সিএসইতেও গতকাল সবগুলো মূল্যসূচক বেড়েছে। এরমধ্যে সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২১ পয়েন্ট বেড়ে ১৩ হাজার ৬৪৩ পয়েন্টে উঠেছে। আর প্রধান সূচক সিএসসিএক্স ৭ পয়েন্ট বেড়ে ৮ হাজার ৪১০ পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে।
গতকাল বুধবার এক্সচেঞ্জটিতে মোট ১৬৭টি সিকিউরিটিজের লেনদেন হয়েছে। এরমধ্য ৬৯টির দর বেড়েছে, কমেছে ৭৩টির এবং ২৫টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে গতকাল ৫ কোটি ৫২ লাখ টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে। গত মঙ্গলবার ১৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছিল। অর্থাৎ দিনের ব্যবধানে গতকাল সিএসইর লেনদেন কমেছে ১০ কোটি ৯১ লাখ টাকা।