কাবাডি ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটির সাধারণ সম্পাদক এসএম নেওয়াজ সোহাগের দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত করে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফেডারেশনের সাবেক সদস্য ও দিয়া স্পোর্টিং ক্লাবের সভাপতি মো. দেলওয়ার হোসেনের করা রিট পিটিশনের প্রেক্ষিতে গত ৪ মার্চ বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি কেএম রাশেদুজ্জামান রাজার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এই আদেশ দেন। একই সঙ্গে ১৭ ডিসেম্বর (মোমো- ৩৪.০৩.০০০০.০০৬.০০। ০২৮.১৩-৪২৭৮) বিনা কারণে সোহাগের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রক্রিয়া অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিতের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, এই মর্মে রুল জারি করেছেন আদালত। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের চেয়ারম্যান, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব, ক্রীড়া পরিষদের পরিচালক (ক্রীড়া), ক্রীড়া পরিষদের পরিচালক (অর্থ), কাবাডি ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এসএম নেওয়াজ সোহাগকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। গত বছরের ১৪ নভেম্বর এসএম নেওয়াজ সোহাগকে সাধারণ সম্পাদক করে কাবাডি ফেডারেশনে ১৮ সদস্যের অ্যাডহক কমিটির প্রজ্ঞাপন দেয় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থার কর্ণধারকে সরাসরি সাধারন সম্পাদক পদে বসানোর এমন সিদ্ধান্ত বেশ সমালোচনার জন্ম দেয়। তবে বিগত কমিটিতে যুগ্ম সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করার সময় কোটি কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগে মো. দেলওয়ার হোসেন গত বছরের ৩ ডিসেম্বর মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনের পরদিন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পরিচালক (ক্রীড়া) শামছুল আলম পরিচালক (অর্থ) মো. সাইদুর রশিদকে নিয়ে এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেয়ার অনুরোধ করে চিঠি ইস্যু (স্মারক নং- ৩৪.০৩.০০০০.০০৪.০৪.০২২-২৪-৩৮৮৭) করেন।
১২ ডিসেম্বর তদন্ত কর্মকর্তার কাছে নেওয়াজ সোহাগের দুর্নীতির বিষয়ে মৌখিক-লিখিত বক্তব্য দেয়ার জন্য চিঠি ইস্যু (স্মারক নং-৩৪.০৩.০০০০.০০৬.০০.০২৮.১৩.৪২৫১) করেন ক্রীড়া পরিষদের পরিচালক (অর্থ) মো. সাইদুর রশিদ। কিন্তু অদৃশ্য কারণে ১৭ ডিসেম্বর অনিবার্য কারণবশত এসএম নেওয়াজ সোহাগের দুর্নীতির বিষয়ে সকল কার্যক্রম স্থগিত করার নির্দেশ জারি করে চিঠি ইস্যু (স্মারক নং- ৩৪.০৩.০০০০.০০৬.০০.০২৮.১৩.৪২৭৮) করেন মো. সাইদুর রশিদ। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের ইস্যু করা প্রত্যেকটি চিঠিতেই কাবাডি ফেডারেশনকে ‘বিতর্কিত অ্যাডহক কমিটি’ বলে উল্লেখ করায় বেশ সমালোচনার জন্ম দেয়। কেন এই তদন্ত কাজ বাতিল করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে রুলনিশি জারি করেন মহামান্য হাইকোর্ট। দুই বিচারপতির নির্দেশে বলা হয়, এসএম নেওয়াজ সোহাগের দুর্নীতি তদন্তের আদেশ দেয়ার পর তা বাতিল করা নিয়মমাফিক হয়নি। তাই চার সপ্তাহের মধ্যে সোহাগের দুর্নীতির তদন্ত কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে।