ঢাকা বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

প্রোপার উইকেটে জিম্বাবুয়ে বধের ছক বাংলাদেশের

প্রোপার উইকেটে জিম্বাবুয়ে বধের ছক বাংলাদেশের

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর আবারও আন্তর্জাতিক ম্যাচে মাঠে নামছে বাংলাদেশ দল। তবে রঙিন পোশাকের টি-টোয়েন্টি কিম্বা ওয়ানডে নয়, সাদা পোশাকের টেস্ট দিয়ে ফিরছে টাইগাররা। ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সাদা পোশাকে রঙিন প্রত্যাবর্তন প্রত্যাশা করছে লাল সবুজ দল। টেস্ট ক্রিকেটে ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বড় বড় জয়গুলো এসেছে স্পিন সহায়ক উইকেট তৈরি করে। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয় এমন উইকেটেই। তবে জিম্বাবুয়ের মতো কিছুটা শক্তির দলের বিপক্ষে জয় তুলে নিতে স্পিন সহায়ক উইকেট প্রয়োজন নেই বলেই মনে করেন বাংলাদেশের কোচ ফিল সিমন্স। আগামীকাল রোববার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে থেকে শুরু হবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টাইগারদের প্রথম টেস্ট ম্যাচ। সেই ম্যাচের আগে গতকাল শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন কোচ সিমন্স, ‘আমাদের পরিকল্পনা আছে প্রোপার উইকেট প্রস্তুত করার। আমরা টেস্ট দলটাকে যেদিকে নিয়ে যেতে চাই, ওরকম খেলতে চাই।’ বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে এখন পর্যন্ত টেস্টে মুখোমুখি হয়েছে ১৮ ম্যাচে। বাংলাদেশ জিতেছে ৮ ম্যাচ। ৭ ম্যাচ জিতেছে জিম্বাবুয়ে।

ড্র হয়েছে ৩ টেস্ট। সবশেষ দেখায় ২০২১ সালে ২২০ রানে জিতেছিল বাংলাদেশ।

তবে দেশের বাইরে খেলতে গেলে বরাবরই সমস্যায় পড়ে বাংলাদেশ, বিশেষ করে টেস্ট সংস্করণে। তাই ঘরের বাইরে সংগ্রাম থেকে মুক্ত হতেই প্রোপার উইকেটে খেলার তাগিদ দিচ্ছেন এই ক্যারিবিয়ান কোচ। এছাড়া জিম্বাবুয়েও আগের সেই শক্তিধর দল নয়। ‘আমরা একটা নির্দিষ্ট ওয়েতে খেলি, এজন্য আমাদের জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে স্পিন উইকেট তৈরির দরকার নাই। প্রোপার উইকেট বানিয়ে টেস্ট ম্যাচ জেতার চেষ্টা করবো। স্পিন উইকেট বা পেস উইকেটের তৈরির দরকার নাই। আমরা ওখানে গিয়েছি আজ, উইকেট শক্ত, ভালো মনে হচ্ছে, আমাদের দেখতে হবে কাল সকালে কেমন হয়,’ বলেন সিমন্স। আর দলের প্রস্তুতি নিয়েও সন্তুষ্ট এই কোচ, ‘প্রস্তুতি বেশ ভালো হয়েছে। এখানকার ফ্যাসিলিটিজ আমার মনে হয় স্বপ্নের মতো। আপনি যা চান, তাই করতে পারবেন। হোটেলটা খুব দূরে নয়। আমরা অনেক কাজ করতে পেরেছি এই অল্প সময়েই।’ জিম্বাবুয়ের মতো দলের বিপক্ষে দুটি টেস্টেই প্রত্যাশিত জয় আসার কথা বাংলাদেশের। তবে কোচ অবশ্য এমন কিছু ভাবছেন না। একটি একটি করে ম্যাচ নিয়ে ভাবছেন বলেই জানান সিমন্স, ‘আমি হোয়াইটওয়াশের ব্যাপারে জানি না। একবারে একটি পদক্ষেপ নেয়ার পক্ষে আমি। এখানে প্রথম টেস্ট হবে। এটি জিতলে আমরা পরের ম্যাচ নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করব, সিরিজ জেতার কথা আলোচনা করব।’

গতকাল ছিল ফিল সিমন্সের ৬২তম জন্মদিন। তাই স্বাভাবিকভাবে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের এই ক্যারিবিয়ান কোচের কাছে উঠল প্রশ্নটা, জন্মদিনের কী উপহার চান? ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ২৬ টেস্ট আর ১৪৩ ওয়ানডে খেলা সিমন্স শিষ্যদের কাছে চাইলেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট জয়, ‘এখন আর জন্মদিনের উপহার চাওয়ার পর্যায়ে নেই। তবে প্রথম টেস্ট জিতলে ভালো একটা উপহার হবে।’ বিসিবির সঙ্গে নতুন চুক্তির পর জিম্বাবুয়ে সিরিজই সিমন্সের প্রথম পরীক্ষা। তাই সিলেট টেস্টে সব মনোযোগ দিতে চান সিমন্স, ‘এখানে প্রথম টেস্ট হবে। এটি জিতলে আমরা পরের ম্যাচ নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করব, সিরিজ জেতার কথা আলোচনা করব। আপাতত সিলেট টেস্টে মনোযোগ দিতে হবে।’

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পর সাদা বলের ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিয়েছেন। এখন তিনি খেলেন শুধু টেস্ট। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এ সংস্করণে তার আছে সুখস্মৃতি, শেষ তিন টেস্টের দুটিতেই ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন। রঙিন পোশাককে বিদায় বলার পর প্রথম সিরিজে মুশফিকের ওপর কতটা নির্ভর করবে বাংলাদেশ? সিমন্সের উত্তর, ‘সে বাংলাদেশ ক্রিকেটকে অনেক কিছু দিয়েছে। মাহমুদউল্লাহ ও তার কাছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের অনেক ঋণ, বিশেষত গত কয়েক বছরে সাদা বলের ক্রিকেটে তারা যা দিয়েছে।

আপনার প্রশ্নের উত্তরে বলতে হয়, সে সর্বোচ্চ পেশাদার। আমি জানি, সে এখন রান করতে চায়। সে ভালো করতে চায়, কঠোর পরিশ্রম করছে রান করাটা নিশ্চিত করতে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তার অসাধারণ রেকর্ড আছে। কিন্তু এখন শূন্য থেকে শুরু করতে হবে।’

জিম্বাবুয়ের পেসার ব্লেসিং মুজারাবানি আর বাংলাদেশের নাহিদ রানা নিয়ে সিমন্স বললেন, ‘পেসারদের পক্ষে উইকেট থাকলে বিশ্বের যে কোনো দলের বিপক্ষেই মুজারাবানি হুমকি। তার উচ্চতা অনেক বেশি, এটা তাকে ভিন্নরকম সুবিধা দেয়। তবে তার বিপক্ষে ছেলেরা খেলেছে। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটেও দেখা হয়েছে। নাহিদ রানার ব্যাপারটাও মুজারাবানির মতোই। ঠিক জায়গায় বল করতে পারলে অবশ্যই জিম্বাবুয়ের ব্যাটারদের চ্যালেঞ্জে ফেলতে পারে ও।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত