বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) এফডিআরের ২৩৮ কোটি টাকা ১৪ ব্যাংকে স্থানান্তর করা হয়েছে। বিষয়টি বিসিবি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানোর আগেই গণমাধ্যমে চলে আসে। বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে শুরুতে সদুত্তর দিতে পারেননি বিসিবির প্রভাবশালী পরিচালক নাজমুল আবেদিন ফাহিম। পরে অবশ্য জোরেশোরে আলোচনা হলে এর সারবত্তা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। পরে বিসিবিও এক বিবৃতিতে ঘটনার আদ্যোপান্ত জানিয়েছে।
এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও। তিনি বলেছেন, ‘বিসিবির সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। এফডিআর তাদের আয়ের একটা উৎস। ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাংক থেকে সরিয়ে এখন যেখানে এফডিআর করা হয়েছে, সেখানে ইন্টারেস্ট রেটও ভালো। এক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম হয়েছে কি না তা আমরা দেখব। সরকারি যেকোনো প্রতিষ্ঠানকেই আমি বলব, ভালো যে ব্যাংকগুলো আছে, সেখানে সেখানে টাকা রাখতে।’
এর আগে টাকা অন্য ব্যাংকে স্থানান্তরের পেছনে যুক্তি দেখিয়ে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘রেড জোন থেকে গ্রিন আর ইয়োলো জোনের ব্যাংকে নিয়ে গেছি টাকা। স্ট্যানডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে আছে ১২ কোটি টাকা। মোট আড়াইশ কোটি। এদের থেকে আমি স্পন্সর পেয়েছি ১২ কোটি টাকার কাছাকাছি, আর প্রতিশ্রুতি পেয়েছি আরও ২৫ কোটি টাকার ইনফ্রাস্ট্রাকচার বানিয়ে দেবে।’ ‘প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যেতে পারে যে, বোর্ড সভাপতি কোনো একক সিদ্ধান্তবলে বোর্ড এর পরিচালনা পর্ষদের অজ্ঞাতে ব্যাংক পরিবর্তনের অথবা লেনদেন সংক্রান্ত নির্দেশ প্রদান করেন না। পার্টনার ব্যাংকগুলোর সঙ্গে বিসিবির আর্থিকবিষয়ক লেনদেনে স্বাক্ষরপ্রদানকারী হিসাবে দুজন বোর্ড পরিচালক আছেন বোর্ডের ফিনান্স কমিটি চেয়ারম্যান ফাহিম সিনহা ও টেন্ডার ও পারচেজ কমিটি চেয়ারম্যান মাহবুবুল আনাম। বিসিবি সভাপতি এসংক্রান্ত বিষয়ে স্বাক্ষরদাতা নন।’ ‘সেপ্টেম্বর ২০২৪ থেকে এখন পর্যন্ত বিসিবি তার অর্থ ও স্থায়ী আমানত সংরক্ষণের দায়িত্ব ১৩টি নির্ভরযোগ্য ব্যাংকের হাতে দিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত বিসিবির আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সহ প্রতিযোগিতামূলক মুনাফা প্রাপ্তির মাধ্যমে আয় বৃদ্ধির সুযোগ তৈরি করেছে। এর ফলে পূর্ববর্তী সময়ের তুলনায় বিসিবির স্থায়ী আমানত থেকে ২-৫ শতাংশ পর্যন্ত অতিরিক্ত মুনাফা হয়েছে।’ ‘গত ছয় মাসে বিসিবি তার বর্তমান তিনটি ব্যাংকিং অংশীদারের কাছ থেকে আনুমানিক ১২ কোটি টাকার স্পনসরশিপ পেয়েছে। এছাড়া, অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য বিসিবির অংশীদার ব্যাংকগুলোর পক্ষ থেকে প্রায় ২০ কোটি টাকা বিনিয়োগের আশ্বাস পাওয়া গেছে, যা এই আর্থিক সম্পর্কগুলোর দৃঢ়তা ও গভীরতা নির্দেশ করে।’