ঢাকা শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

এমসি কলেজে ধর্ষণ মামলায় সাক্ষ্য দিলেন ভুক্তভোগী

এমসি কলেজে ধর্ষণ মামলায় সাক্ষ্য দিলেন ভুক্তভোগী

সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় ভুক্তভোগী সাক্ষ্য দিয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক স্বপন কুমার সরকারের আদালতে ভুক্তভোগীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। এর আগেও ২৬ মে মামলার বাদী সাক্ষ্য দিয়েছিলেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আবুল হোসেন। তিনি বলেন, বাদীর সাক্ষ্য ২৬ মে সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল আদালতে মামলার ভুক্তভোগী সাক্ষ্য দিয়েছেন। মামলাটি স্পর্শকাতর হওয়ায় সাক্ষ্য গ্রহণের সময় আদালতের কক্ষে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ছাড়া অন্য কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আবুল হোসেন বলেন, মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণ ১৮ জুন ধার্য রয়েছে। গতকাল সাক্ষ্য দেওয়ার সময় মামলার আট আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তারা সবাই কারাগারে আছেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলাটি নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল থেকে গত মে মাসে স্থানান্তর হয়ে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। সাক্ষ্য গ্রহণ শুরুর পর থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত মামলার বাদী ভুক্তভোগীসহ চারজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। এর মধ্যে বাদীর সাক্ষ্য নিয়ে কিছুটা অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল রাষ্ট্রপক্ষ। বাদীর সাক্ষ্য এজাহারকে ‘সাপোর্ট’ করে জবানবন্দি না দেওয়ায় বৈরী ঘোষণা করে জেল–হাজতে আবদ্ধ রেখে সাক্ষ্য সম্পন্ন করার আবেদনও করেছিলেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।

২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে এক তরুণীকে (২০) দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী শাহপরান থানায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে এবং দুজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেন। ঘটনার পর আসামিরা পালিয়ে গেলেও তিন দিনের মধ্যে পুলিশ ও র‍্যাব অভিযান চালিয়ে ছয়জন নাম উল্লেখিত ও সন্দেহভাজন দুজনকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ডিএনএ পরীক্ষায় আট আসামির মধ্যে ছয়জনের সঙ্গে ধর্ষণের আলামতের মিল পাওয়া যায়। ২০২১ সালের ৩ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, শাহপরান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। অভিযুক্তরা হলেন সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি, তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল, মিসবাউল ইসলাম ওরফে রাজন, রবিউল ও মাহফুজুর রহমান। তারা সবাই ছাত্রলীগের টিলাগড়কেন্দ্রিক রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত