ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

‘আনফেয়ার, আই ওয়ান্ট টু চ্যালেঞ্জ’

‘আনফেয়ার, আই ওয়ান্ট টু চ্যালেঞ্জ’

‘রাতের আঁধারেই কাজটা করে ফেলতে হলো। এতো রাতে সরকারি প্রজ্ঞাপন। এটাও সম্ভব। আনফেয়ার। আই ওয়ান্ট টু চ্যালেঞ্জ।’ কথাগুলো বলছিলেন বিসিবির সদ্য বিদায়ী সভাপতি ফারুক আহমেদ। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মনোনয়ন পেয়ে কাউন্সিল হয়ে বিসিবির পরিচালক নির্বাচিত হন ফারুক। পরবর্তীতে পরিচালকরা তাকে বেছে নেয় সভাপতি হিসেবে। কিন্তু বছর না ঘুরতেই সেই চেয়ারে আর থাকা হচ্ছে না ফারুকের। নিজেদের কোটায় পরিচালক পদে ফারুকের মনোনয়ন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন দিয়েছে এনএসসি।

গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টার পর এই প্রজ্ঞাপন দেয় এনএসসি। যা নিয়ে মুঠোফোনে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেখান ফারুক আহমেদ, ‘আমার সঙ্গে অন্যায় হয়েছে। যারা আমাকে গুরুত্ব দিয়ে এতো বড় পজিশনে নিয়ে আসল, তারাই আমাকে কোনো কারণ দেখানো ছাড়াই পদ থেকে সরিয়ে দিচ্ছে। আমি অবশ্যই ফাইট করবো। এভাবে ছেড়ে দিলে হবে না। আমি আনচ্যালেঞ্জেড যেতে দেব না। শেষ দেখেই ছাড়ব।’

ফারুককে সরিয়ে দেয়ার যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়েছে তা আইসিসির চোখে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এখানে স্পষ্টই সরকারী হস্তক্ষেপ হয়েছে। অতীতে এরকম হস্তক্ষেপের কারণে শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটের ওপর সাময়িক নিষেজ্ঞা এসেছিল। বাংলাদেশও হয়তো সেই পথেই হাঁটছে। কেননা, তার পদচ্যুতের বিষয়টি আইসিসিকে এরই মধ্যে অবগত করেছেন ফারুক, ‘আইসিসিকে জানিয়েছি। আশা করছি, তারা নিয়মের মধ্যে থেকে যেটা গ্রহণযোগ্য সিদ্ধান্ত সেটাই জানাবে।’ এছাড়া আইনি পদক্ষেপ নেয়ার জন্য আগামীকাল রোববার পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন তিনি। তার ভাষ্য, ‘আমি আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেছি। যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে নিজের জন্য সর্বোচ্চটা দিয়ে লড়াই করতে হবে। কোনো উপায় নেই।’

দুটি স্পষ্ট কারণে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ফারুকের মনোনয়ন বাতিল করেছে। প্রথমত, তার বোর্ডের ৮ জন পরিচালক (বর্তমানে সংখ্যাগরিষ্ঠ) অনাস্থা প্রকাশ করা। দ্বিতীয়ত, বিপিএলের অনিয়ম তদন্তে গঠিত সত্যানুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদনে ফারুককেই দায় দিয়েছেন এনএসসি গঠিত কমিটির সদস্যরা।

এদিকে শুক্রবার সকাল থেকে ফারুক আহমেদের ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীরা একাধিকবার ফোনে চেষ্টা করেও তাকে পাচ্ছিলেন না। ফলে ক্রিকেটপাড়ায় খবর চাউর হয় ফারুক দেশ ছেড়েছেন। কিন্তু এমন খবর প্রকাশের পর ফারুক নিজেই জানালেন ভিন্ন কথা। দাবি করেছেন, তার দেশ ছাড়া নিয়েও একটি মহল গুজব ছড়াচ্ছে! তিনি অভিযোগ করেন, একটি মহল তাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে, ‘এটা পুরোপুরি মিথ্যা কথা। যারা আমাকে নিয়ে এতদিন নাটক তৈরি করেছে, এটা তাদেরই একটা নাটকের শেষ অংশ আমার কাছে মনে হচ্ছে। আমি দেশেই আছি। গুজবে কান দেবেন না।’

শেষে ফারুক যোগ করে বলেছেন, তিনি আগামীকাল আনুষ্ঠানকিভাবে সংবাদ সম্মেলন করবেন। প্রসঙ্গত, ফারুক আহমেদের বিদেশ যাওয়াটা চূড়ান্ত ছিল। শেষ মুহূর্তে তিনি বিদেশ যাননি। ভোর রাত থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকা এবং তার যাওয়ার পরিকল্পনা অনেকের জানার কারণেই ভুল বোঝাবুঝি তৈরি করেছে। যদিও খবর প্রকাশের পর তিনি তার ফোন খুলেছেন এবং গণমাধ্যমের সঙ্গেও কথা বলেছেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত