কয়েক দশক পর নতুন করে জেগে উঠেছে বাংলাদেশের ফুটবল। আর এর মূলে রয়েছেন প্রবাসী ফুটবলার। তাদের মধ্যে অন্যতম ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা হামজা চৌধুরী, কানাডার জাতীয় দলে খেলা সামিত সোম এবং ইতালির ফাহমিদুল ইসলাম। এছাড়া সম্প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রায় অর্ধ শতাধিক প্রবাসী খেলোয়াড় জাতীয় স্টেডিয়ামে তিন দিনব্যাপী ট্রায়ালে অংশগ্রহণ করেছে। সেই ধারাবাহিকতায় এবার ব্যাডমিন্টনে আসছেন প্রবাসী শাটলার। ১৪-১৯ জুলাই অনুষ্ঠেয় জাতীয় চ্যাম্পিয়শিপে অংশ নিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসছেন আইমান ইবনে জামান এবং ফয়জুল ইসলাম জাকারিয়া। আইমান দু’বারের সাবেক চ্যাম্পিয়ন। অন্যদিকে জাকারিয়া প্রথমবারের মতো আসছেন। জানা গেছে, জাতীয় এই চ্যাম্পিয়নশিপে ১০-১৫ জন প্রবাসী শাটলার আবেদন করলেও শেষ নিবন্ধন করেছেন এই দুজন।
দেশের ব্যাডমিন্টনে প্রাইজমানিতেও একটা বিপ্লব ঘটাতে যাচ্ছে নতুন কমিটি। এবারের আসরে ১০ লাখ টাকার প্রাইজমানি দেওয়া হচ্ছে। যা স্বাধীনতার পর থেকে কেউ ঘরোয়া আসরে কল্পনাও করেননি। ৪৪ বাই ২০ ফিট কোটে খেলা শাটলারদের এবার আশা পুরণ হতে চলেছে। বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক রাসেল কবির সুমন বলেন, ‘শাটলারদের আর্থিক দৈনতা আমাকে কষ্ট দেয়। তাই এবারে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে ১০ লাখ টাকা প্রাইজমানির ঘোষণা দিয়েছি আমরা। এককেই থাকবে দেড় লাখ টাকার প্রাইজমানি। আমি উদাহরণ তৈরি করতে চাই। আগে যেখানে সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা ছিল, সেটা ১০ লাখে উন্নীত করতে চাই। পরবর্তীতে যারা আসবে তারা যেন এর কমে প্রাইজমানি দিতে না পারে।’
নানা কারণে ২০১৪ সাল থেকে লিগ হয়নি। প্রথম বিভাগে নয়টি ক্লাব খেলতো। বিগত ১১ বছরে ক্লাবগুলোতে ধুলোর স্তর জমেছে। ১৫ বার বাংলাদেশ জাতীয় চ্যাম্পিয়ন সুমন জানালেন, ‘দীর্ঘদিন লিগ হয়নি। এবার টার্গেট হচ্ছে বাংলাদেশে প্রথম বিভাগ লিগ করা। তিনটি দল হলেও তাদের নিয়েই লিগ করবো। কারণ শাটলারদের রুটি রুজির সংস্থান এই লিগ থেকেই।’ তিনি যোগ করেন, ‘খেলোয়াড়দের অবশ্যই একটা ইনকামের দরকার আছে। আমরা তো সেটি ফেডারেশন থেকে দিতে পারি না। তাই চিন্তা ভাবনা আছে বছরের শেষদিকে শাটলারদের ফ্রি করে দেওয়া। অর্থাৎ তাদের খেপ খেলার সুযোগ করে দেওয়া। ওই সময় যে আয় করবে সেটি দিয়ে যেন সারাবছর প্রাকটিস করতে পারে।’
এ পর্যন্ত স্বল্প ও মাঝারি মেয়াদে মালয়েশিয়া ও চীন থেকে কোচ এসেছে। এবার আগস্টে প্রথমবারের ইন্দোনেশিয়া থেকে দীর্ঘমেয়াদে কোচ আনতে যাচ্ছে ফেডারেশন। লক্ষ্য আগামি বছর জানুয়ারিতে পাকিস্তানে অনুষ্ঠেয় এসএ গেমসে তুলনামুলক ভালো ফলাফল করা। বিদেশি কোচের বেতন আসবে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে। এছাড়া ব্যাডমিন্টনের উন্নতীতে যাবতীয় সবকিছুর স্পন্সর হিসেবে থাকবে লাবিব গ্রুপ। বাৎসরিক পরিকল্পনা জানিয়ে নতুন এই সাধারণ সম্পাদক জানান, ‘জুলাইয়ে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের পর আগস্টে স্কুল টুর্নামেন্ট, সেপ্টেম্বরে লিগ, অক্টোবরে র্যাংকিং টুর্নামেন্ট, নভেম্বর ও ডিসেম্বরে সানরাইজ-ইউনেক্স আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট করার পরিকল্পনা রয়েছে। আমরা ব্যাডমিন্টনের উন্নয়ন উন্নতীর জন্য লাবিব গ্রুপকে কাছে পাচ্ছি, তাতে আমাদের কাজগুলো সহজতর হবে।’