
সপ্তাহ দুই ধরেই পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা চলছিল। সে উত্তেজনা শেষ পর্যন্ত রুপ নেয় সীমান্তে সংঘাতে। ও আফগানিস্তানর বিভিন্ন জায়গায় পাকিস্তানের বিমান হামলায় কয়েকশ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। হামলা-পাল্টা হামলায় উভয় দেশের কয়েকশ মানুষ প্রাণ হারায়। এরপর দুই প্রতিবেশী দেশ ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতিতে যায়। ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি শেষ হতে না হতেই আফগানিস্তানে হামলা চালায় পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। দেশটির পাকতিকা প্রদেশের চালানো এ হামলায় তিন আফগান ক্রিকেটার নিহত হন। এমন অবস্থায় পাকিস্তানে হতে যাওয়া ত্রিদেশীয় সিরিজ থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছে আফগানিস্তান।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) গত মাসে সিরিজটি আয়োজনের ঘোষণা দেয়। আগামী ১৭ থেকে ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত রাওয়ালপিন্ডি ও লাহোরে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে ত্রিদেশীয় সিরিজটি অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে আফগানিস্তানেরও অংশ নেওয়ার কথা ছিল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গত শুক্রবার রাতে নিজেদের ‘এক্স’ হ্যান্ডলে দেওয়া বিবৃতিতে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (এসিবি) পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড পাকতিকা প্রদেশের আরগুন জেলার সাহসী ক্রিকেটারদের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় গভীর শোক ও সমবেদনা জানাচ্ছে, যারা সন্ধ্যায় পাকিস্তানি বাহিনীর কাপুরুষোচিত হামলার শিকার হয়েছেন।’
বিবৃতিতে এসিবি দাবি করে, হামলায় মারা যাওয়া তিন স্থানীয় ক্রিকেটার পাকতিকা প্রদেশের রাজধানী শারানায় একটি প্রীতি ম্যাচ খেলে বাড়ি ফিরছিলেন, ‘হৃদয়বিদারক এ ঘটনায় আরগুন জেলার তিন ক্রিকেটার কবির, সিবঘাতুল্লাহ, হারুনসহ আরও পাঁচজন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন সাতজন। দুপুরে তারা পাকতিকা প্রদেশের রাজধানী শারানা শহরে প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ খেলতে গিয়েছিলেন। খেলা শেষে নিজ এলাকায় ফিরে একত্র হওয়ার সময় হামলার শিকার হন তারা।’
ত্রিদেশীয় সিরিজে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্তও এই বিবৃতিতে জানিয়েছে এসিবি, ‘মর্মান্তিক এ ঘটনার প্রতিবাদে ও নিহত ব্যক্তিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড আসন্ন ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাকিস্তানকে নিয়ে নভেম্বরের শেষ দিকে এটি খেলার কথা ছিল।’