ঢাকা শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

সিলেটের মাঠে জয়ে শুরু রাজশাহীর

শান্তর সেঞ্চুরি, মুশফিকের ফিফটি

শান্তর সেঞ্চুরি, মুশফিকের ফিফটি

ছন্দে না থাকায় বাংলাদেশ জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েছেন অনেক আগেই। এমনকি গত বিপিএলেও ফরচুন বরিশালে খেলে নিয়মিত একাদশে থাকার সুযোগ মিলেনি। সেই নাজমুল হোসেন শান্ত এবার রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের অধিনায়কত্ব পেয়ে গর্জে উঠলেন। প্রথম ম্যাচেই সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে দারুণ এক সেঞ্চুরি তুলে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন তিনি। গতকাল শুক্রবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিপিএলের দ্বাদশ আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে সিলেট টাইটানসকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে রাজশাহী ওয়ারিয়র্স। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৯০ রান তোলে সিলেট। জবাবে ২ বল বাকি থাকতে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় রাজশাহী।

লক্ষ্য তাড়ায় তিনে নেমে শান্ত খেলেন হার না মানা ১০১ রানের অনবদ্য ইনিংস। ৬০ বলের এই ইনিংসে ১০টি চার ও ৫টি ছক্কায় সাজানো ছিল তার ব্যাটিংয়ের পূর্ণতা ও আত্মবিশ্বাস। ম্যাচের নায়ক শান্ত হলেও পার্সনায়ক ছিলেন মুশফিকুর রহিম। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার শান্তকে দারুণ সঙ্গ দিয়ে অপরাজিত ফিফটি তুলে নেন এবং তিন বল হাতে থাকতে বাউন্ডারি মেরে জয় নিশ্চিত করেন। তবে রাজশাহীর শুরুটা মোটেও ভালো ছিল না। তানজিদ হোসেন দ্রুত ফিরে যান, আর পাকিস্তান থেকে উড়িয়ে আনা ওপেনার সাহিবজাদা ফারহানও ইনিংস বড় করতে পারেননি। দুই ওপেনারের ব্যাট থেকে আসে যথাক্রমে ১০ ও ২০ রান। এরপর তৃতীয় উইকেটে শান্ত ও মুশফিকের অবিচ্ছিন্ন ১৩০ রানের জুটিতেই ম্যাচ

পুরোপুরি রাজশাহীর নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে রনি তালুকদার ও সাইম আইয়ুবের ৩৬ রানের উদ্বোধনী জুটিতে ভালো সূচনা পায় সিলেট। সাইম আউট হলেও রনি এরপর হজরতুল্লাহ জাজাই ও পারভেজ হোসেন ইমনের সঙ্গে কার্যকর জুটি গড়ে ইনিংস এগিয়ে নেন। রনি করেন ৩৪ বলে ৪১ রান, সাইম আইয়ুবের ব্যাট থেকে আসে ২৮ রান, আর জাজাই যোগ করেন ২০। চারে নেমে ইনিংসের নিয়ন্ত্রণ নেন পারভেজ হোসেন ইমন। একপ্রান্ত আগলে রেখে শেষদিকে আফিফ হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে ৮৬ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়ে সিলেটকে বড় সংগ্রহের পথে এগিয়ে নেন তিনি। ৩৩ বলে ৪টি চার ও ৫টি ছক্কায় অপরাজিত ৬৫ রান করেন ইমন। আফিফ ১৯ বলে ঝড়ো ৩৩ রান করলেও শেষ মুহূর্তে রানআউট হয়ে ফিরতে হয় তাকে। পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেটে ৪৫ রান তোলা সিলেট শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেটে ১৯০ রানে থামে। রাজশাহীর বোলারদের মধ্যে নেপালের সন্দিপ লামিচানে ছিলেন সবচেয়ে সফল, ৩৮ রান খরচায় নেন ২টি উইকেট।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত