প্রিন্ট সংস্করণ
০০:০০, ১৬ আগস্ট, ২০২৫
‘তাকওয়া’ শব্দটির অর্থ আল্লাহকে ভয় করে চলা, সব সময় তাঁর নির্দেশ মেনে চলা এবং গোনাহ থেকে নিজেকে রক্ষা করা। এটি এমন একটি গুণ, যা একজন মুমিনকে আল্লাহর প্রিয় বানিয়ে তোলে। তাকওয়া থাকে অন্তরে; কিন্তু তার প্রভাব দেখা যায় মানুষের জীবনে। তাকওয়াবান মানুষ একা থাকলেও খারাপ কাজ করে না, কারণ সে জানে, ‘আমার রব আমাকে দেখছেন।’
আল্লাহতায়ালা কোরআনে বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, যেমনভাবে ভয় করা উচিত। আর মুসলমান না হয়ে মৃত্যুবরণ করো না।’ (সুরা আলে ইমরান : ১০২)।
আল্লাহ আরও বলেন, ‘আল্লাহ তাদেরই কবুল করেন, যারা তাকওয়াবান।’ (সুরা মায়িদা : ২৭)। এই আয়াতগুলো আমাদের শেখায় তাকওয়া ছাড়া ইমান পরিপূর্ণ হয় না আর আল্লাহর নৈকট্য অর্জনও সম্ভব নয়।
তাকওয়ার উপকারিতা : জীবনের সংকট থেকে মুক্তি। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘যে আল্লাহকে ভয় করে, তিনি তার জন্য পথ বের করে দেন এবং তাকে এমন উৎস থেকে রিজিক দেন, যা সে কল্পনাও করতে পারে না।’ (সুরা তালাক : ২-৩)।
ভালোমন্দ বোঝার শক্তি। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘তোমরা যদি আল্লাহকে ভয় কর, তাহলে তিনি তোমাদের সঠিক-বেঠিক বোঝার শক্তি দেবেন, গুনাহ মাফ করবেন এবং ক্ষমা করে দেবেন।’ (সুরা আনফাল : ২৯)।
মর্যাদার মানদ- : রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ তোমাদের বাহ্যিক রূপ বা সম্পদ দেখেন না; বরং তিনি তোমাদের অন্তর ও কাজের দিকে তাকান।’ (মুসলিম : ২৫৬৪)।
রাসুল (সা.) আরও বলেন, ‘মানুষের মধ্যে সবচেয়ে মর্যাদাবান সেই ব্যক্তি, যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি তাকওয়া আছে।’ (বোখারি : ১৩১৫)।
তাকওয়া থাকে অন্তরে, কিন্তু তার প্রভাব দেখা যায় মানুষের জীবনে। তাকওয়াবান মানুষ একা থাকলেও খারাপ কাজ করে না, কারণ সে জানে, ‘আমার রব আমাকে দেখছেন।’
তাকওয়া একটি গোপন সৌন্দর্য : তাকওয়া এমন এক সৌন্দর্য, যা বাইরে নয়, অন্তরে থাকে। তাকওয়া মানুষকে বিনয়ী করে, ধৈর্য ধরতে শেখায় এবং সৎ পথে অটল থাকতে সাহায্য করে। তাকওয়া ছাড়া কেউ দুনিয়া ও আখেরাতে সফল হতে পারে না। তাই আসুন, আমরা অন্তরে তাকওয়ার আলো জ্বালিয়ে দিই, গুনাহ থেকে বাঁচি আর প্রতিটি কাজ আল্লাহকে খুশি করার নিয়তে করি।
লেখক : খতিব, টোলারবাগ কেন্দ্রীয় মসজিদ, মিরপুর ১, ঢাকা।