অনলাইন সংস্করণ
১৩:০৯, ২৯ জুলাই, ২০২৫
জাতীয় উশুতে ১৬ বছর ধরে রাজত্ব কায়েম করেছিল বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি। সার্ভিসেস দলটির দীর্ঘদিনের অহংকার এবার চুরমার করে দিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। ১৬টি স্বর্ণপদক জিতে প্রতিযোগিতার ১৮তম আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তারা। সাতটি স্বর্ণ পদক জিতে প্রথম রানারআপ হয়ে এবারের জাতীয় উশু প্রতিযোগিতা শেষ করেছে আনসার। অন্যদিকে তিনটি স্বর্ণপদক নিয়ে দ্বিতীয় রানারআপ হয়েছে দিনাজপুর জেলা।
একটি স্বর্ণপদক জিতে চতুর্থ স্থান লাভ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। গতকাল সোমবার রাজধানীর মিরপুরে শহিদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে খেলা বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণের মধ্যে দিয়ে শেষ ১৮তম আসর। তবে প্রতিযোগিতার খেলা শেষ হয় গত রোববার। পুরস্কার বিতরণ ও সমাপনীর প্রধান অতিথি হিসেবে চীনা দূতাবাসের সম্মানিত কালচারাল কাউন্সিলর লী শাওপেং উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ উশু ফেডারেশনের সম্মানিত সভাপতি মেজর জেনারেল আ স ম রিদওয়ানুর রহমান। আরও উপস্থিত ছিলেন উশু ফেডারেশনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক দিলদার হাসান দিলু সহ ফেডারেশন ও অন্যান সংস্থার কর্মকর্তারা। এবারের প্রতিযোগিতায় সেনাবাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, পুলিশ, আনসার এবং বিকেএসপিসহ মোট ২৮টি দলের প্রায় ৪১৮ জন ক্রীড়াবিদ, কোচ ও কর্মকর্তা অংশ নিয়েছেন। পুরুষ ও নারী মিলিয়ে এবার ছিল মোট ২৭টি স্বর্ণপদক ইভেন্ট। এরমধ্যে সান্দা ফাইটে ছিল ১৯টি এবং তাওলুতে ৮টি ইভেন্ট। প্রতিযোগিতার শেষে বিভিন্ন শ্রেণিতে সর্বমোট ১০৮টি পদক (স্বর্ণ, রৌপ্য ও তাম্র) প্রদান করা হয়। বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে প্রতিটি স্বর্ণপদক বিজয়ীকে এওয়ার্ড স্পন্সর প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের সৌজন্যে আকর্ষণীয় ইলেকট্রনিক পণ্য উপহার দেওয়া হয়। দলীয় চ্যাম্পিয়নদের হাতে তুলে দেওয়া হয় ট্রফি। এছাড়াও সব প্রতিযোগীকে টিশার্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, জাতীয় প্রতিযোগিতা শেষে স্বর্ণ ও রৌপ্যপদক জয়ীদের প্রাধান্য দিয়ে আগামী ১ আগস্ট থেকে মিরপুর ক্রীড়া পল্লীতে একটি আবাসিক প্রশিক্ষণ ক্যাম্প শুরু হবে। মূলত ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার জন্য নতুন প্রতিভাবান খেলোয়াড় খুঁজে নিতে চায় বাংলাদেশ উশু ফেডারেশন।