ঢাকা রোববার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো বাংলাদেশ

ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো বাংলাদেশ

চট্টগ্রামে টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর ম্যাচেও নিজেদের ব্যর্থতা কাটাতে পারল না বাংলাদেশ। তানজিদ হাসান তামিমের ৮৯ রানের একক লড়াইয়ে বাংলাদেশ ১৫১ রান করলেও শেষ পর্যন্ত ১৯ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় ক্যারিবীয়রা।

চট্টগ্রামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৫১ রান করে বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৯ রান করেন তানজিদ তামিম। জবাবে ১৬ ওভার ৫ বলে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

টসে জিতে নিজেদের শেষ ম্যাচে চারটি বড় পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ। তানজিদ হাসান তামিম দুইবার জীবন পান। তবে তার সঙ্গী দলে ফেরা পারভেজ হোসেন ইমন (৯) বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ২২ রানে প্রথম উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। এরপর ক্রিজে আসেন অধিনায়ক লিটন দাস। কিন্তু দলের হাল ধরার বদলে তিনিও হতাশ করেন। মাত্র ৯ বলে ৬ রান করে বাউন্ডারিতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। ৪৪ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় দল।

তৃতীয় উইকেটে সাইফ হাসানকে (২২ বলে ২৩) নিয়ে ৬৩ রানের জুটি গড়েন তানজিদ। এই জুটিতেই ভর করে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। একপ্রান্তে অবিচল থাকা তানজিদ ৩৬ বলে তুলে নেন দুর্দান্ত এক হাফ সেঞ্চুরি। এই ইনিংস খেলার পথেই তিনি বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম (৪২ ইনিংসে) ১০০০ টি-টোয়েন্টি রানের মাইলফলকও স্পর্শ করেন।

কিন্তু সাইফের বিদায়ের পরই নামে নাটকীয় ধস। ১৬তম ওভারের শেষ বল থেকে ১৯তম ওভারের শেষ বল পর্যন্ত টানা চার ওভারে শেষ বলে একটি করে উইকেট হারায় বাংলাদেশ। রিশাদ হোসেন (৩), নুরুল হাসান সোহান (১), নাসুম আহমেদ (১) ও জাকের আলী অনিক (৫) একে একে সাজঘরে ফেরেন। একপ্রান্তে তানজিদ তখন সতীর্থদের এই আসা-যাওয়া দেখছিলেন অসহায় হয়ে।

সেঞ্চুরির আশা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত পারেননি তানজিদ। শেষ ওভারের প্রথম বলে রোমারিও শেফার্ডের বলে আউট হন তিনি। ৬২ বলে ৯ চার ও ৪ ছক্কায় ৮৯ রান করেন তিনি। তার বিদায়ের পরের বলে শরিফুলও আউট হন। শেষদিকে তাসকিনের এক ছক্কায় (৪ বলে ৯*) দলের রান দাঁড়ায় ১৫১।

আবা/এসআর/২৫

হোয়াইটওয়াশ,বাংলাদেশ
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত