ঢাকা শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

গতিসীমা মানলে রোড ক্র্যাশ কমবে: ডিএমপি কমিশনার

গতিসীমা মানলে রোড ক্র্যাশ কমবে: ডিএমপি কমিশনার

ঢাকায় পুলিশ কর্মকর্তাদের জন্য আয়োজিত ‘রোড ক্র্যাশের অন্যতম ঝুঁকি গতি’ শীর্ষক কর্মশালায় ডিএমপি কমিশনার এসএম সাজ্জাত আলী, এনডিসি বলেছেন, সড়কে নানা কারণে মানুষ মারা যায়। মেয়াদোত্তীর্ণ যান, অদক্ষ চালক, বিভিন্ন ধরনের যান একসঙ্গে চলাচল, লেন না মানা, যাত্রী উঠানামা, রাতে পর্যাপ্ত আলো না থাকা, ট্রাফিক আইন ও সিগনাল অমান্য করা, অনিরাপদ রোড ডিজাইন এবং অতিরিক্ত বা বেপরোয়া গতি মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত।

আজ সকালে ঢাকার একটি হোটেলে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার এসএম সাজ্জাত আলী এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, বিশেষ করে অতিরিক্ত গতি রোড ক্র্যাশ ও অকালমৃত্যু এবং পঙ্গুত্বের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। সড়ক ও গাড়ির ধরণ অনুযায়ী যে গতিসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে তা মেনে গাড়ি চালালে রোড ক্র্যাশের ঝুঁকি কমে আসে। নিরাপদ যান, নিরাপদ রোড ডিজাইন এবং ট্রাফিক আইন মেনে চললে সড়ক নিরাপদ হবে।

প্রশিক্ষণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এডমিন) মো. সারওয়ার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) ড. মো. জিল্লুর রহমান এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খন্দকার মাহবুব আলম।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বিআইজিআরএস কোঅর্ডিনেটর ও অতিরিক্ত সচিব (অব.) মো. আবদুল ওয়াদুদ। গ্লোবাল রোড সেফটি পার্টনারশিপ (জিআরএসপি)-এর সিনিয়র রোড পুলিশিং উপদেষ্টা মাইকেল ফিল্যান্ড ও পল সিমকক্স উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকায় গতিসীমা নিয়ন্ত্রণ নির্দেশিকা বাস্তবায়নের মাধ্যমে সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডিএমপি’র বিভিন্ন ইউনিটের ট্রাফিক সার্জেন্ট, উপ-পরিদর্শক, পুলিশ পরিদর্শক এবং সহকারী/উপ-পুলিশ কমিশনার পদমর্যাদার ৩০ জন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।

প্রশিক্ষণে রোড ক্র্যাশ প্রতিরোধে আইন প্রয়োগের ভূমিকা, যানবাহনের উচ্চ গতির ঝুঁকি, গতি নিয়ন্ত্রণের গুরুত্ব, গতি নিয়ন্ত্রণ প্রযুক্তি ও কৌশল এবং রাস্তার পাশের চেকপয়েন্ট নিরাপদ ব্যবস্থাপনার বিষয়গুলো আলোচনা করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন দেশের গবেষণা, গ্রাফ ও অডিওভিজ্যুয়াল চিত্রের মাধ্যমে ঝুঁকি প্রদর্শন করা হয়।

প্রসঙ্গত, দেশে রোড ক্র্যাশে মৃত্যু ও হতাহতের সংখ্যা কমাতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কে সর্বোচ্চ গতিসীমা নির্ধারণ করেছে। সিটি কর্পোরেশন এলাকার মধ্যে এক্সপ্রেসওয়ে, জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে সর্বোচ্চ গতি ৪০ কিমি/ঘণ্টা এবং অন্যান্য অধিকাংশ সড়কে ৩০ কিমি/ঘণ্টা নির্ধারণ করা হয়েছে। শহরে মোটরসাইকেলের সর্বোচ্চ গতি ৩০ কিমি/ঘণ্টা।

দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ সমন্বয় করেন বিআইজিআরএস-ঢাকা ইনিশিয়েটিভ কোঅর্ডিনেটর মো. আবদুল ওয়াদুদ ও এনফোর্সমেন্ট কো-অর্ডিনেটর গোলাম হোসেন।

উপস্থিত ছিলেন ভাইটাল স্ট্রাটেজিসের টেকনিক্যাল এডভাইজর আমিনুল ইসলাম সুজন, ওয়ার্ল্ড রিসোর্সেস ইনস্টিটিউটের কনসালটেন্ট ফারজানা ইসলাম তমা, বিআইজিআরএস-এর ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেটর রেজাউর রহমান এবং সার্ভিলেন্স কো-অর্ডিনেটর ডা. তানভীর ইবনে আলী।

সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ডিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) ড. মো. জিল্লুর রহমান উপস্থিত থেকে প্রশিক্ষণার্থীদের সনদপত্র বিতরণ করেন।

এ সময় যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-ঢাকা উত্তর) সুফিয়ান আহমেদও উপস্থিত ছিলেন।

ডিএমপি কমিশনার,রোড ক্র্যাশ কমবে,গতিসীমা
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত