ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কর্তৃক বাংলাদেশিদের হত্যার ঘটনায় দোষী সদস্যদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে ‘বাংলাদেশের জনগণ’ নামের একটি সংগঠন। একইসঙ্গে ভারতের সঙ্গে হওয়া সব ‘অসম চুক্তি’ বাতিলের আহ্বান জানানো হয়েছে।
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) চাঁপাইনবাবগঞ্জের কিরণগঞ্জ সীমান্ত অভিমুখে লংমার্চ ও সামাজিক জেয়াফতের আয়োজন করা হয়। সীমান্ত হত্যা বন্ধ ও সীমান্ত নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে শনিবার রাতে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে লংমার্চ শুরু হয়। রবিবার সকালে শিবগঞ্জে পৌঁছে শিবগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে কিরণগঞ্জ সীমান্ত অভিমুখে লংমার্চ শুরু হয়। তবে প্রশাসনের অনুরোধে এটি পাইলিং মোড় এলাকায় শেষ করা হয়। সেখানে সামাজিক জেয়াফতের অংশ হিসেবে গরু জবাই করা হয়।
সংগঠনটির মুখপাত্র আবু মুস্তাফিজ বলেন, “সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে হলে হত্যাকারী বিএসএফ সদস্যদের বিচারের আওতায় আনতে হবে, না হলে এই হত্যাকাণ্ড বন্ধ হবে না। বাংলাদেশ রাষ্ট্র কার্যত ভারতের নিয়ন্ত্রণে, আমাদের স্বাধীনতার দাবি আসলে পরাধীনতার শৃঙ্খলে রয়ে গেছে।”
লংমার্চে অংশ নিয়ে নতুন গঠিত ‘আমজনতার দল’-এর সদস্য সচিব তারেক রহমান বলেন, “ভারতের সঙ্গে হওয়া চুক্তিগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, সেগুলো বাংলাদেশবিরোধী। তাই এ ধরনের অসম চুক্তি মানার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।”
উল্লেখ্য, মাত্র দুইদিন আগে, গত বৃহস্পতিবার রাতে শিবগঞ্জ উপজেলার রঘুনাথপুর সীমান্তে বিএসএফের নির্যাতনে এক বাংলাদেশি নিহত হওয়ার অভিযোগ ওঠে। নিহত বারিকুল ইসলামের পরিবার দাবি করে, সীমান্ত থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এর আগে, ৫ জানুয়ারি চৌকা সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণকে কেন্দ্র করে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে চারদিন ধরে উত্তেজনা চলে। এছাড়া ১৮ জানুয়ারি সীমান্তের আমগাছ ও ফসল কাটাকে কেন্দ্র করে দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।