ঢাকা শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

আবারও বাড়ছে করোনা: সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৭ দফা নির্দেশনা

আবারও বাড়ছে করোনা: সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৭ দফা নির্দেশনা

বিশ্বজুড়ে আবারও বাড়তে শুরু করেছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। শনাক্ত হচ্ছে ভাইরাসটির নতুন নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট। এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশেও সংক্রমণের আশঙ্কায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

বুধবার (১১ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর জানান, আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে দেশে সংক্রমণ বিস্তারের ঝুঁকি রয়েছে। তাই বিমান, নৌ ও স্থলবন্দরে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে আইএইচআর ডেস্কগুলোর কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।

জনসাধারণের জন্য তিনি সাতটি নির্দেশনা দেন—

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা:

১. জনসমাগম এড়িয়ে চলা, একান্ত প্রয়োজন হলে মাস্ক পরা

২. শ্বাসতন্ত্রের রোগ থেকে রক্ষা পেতে নিয়মিত মাস্ক ব্যবহার

৩. হাঁচি-কাশির সময় কনুই বা টিস্যু দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে রাখা

৪. ব্যবহৃত টিস্যু ঢাকনাযুক্ত ঝুড়িতে ফেলা

৫. সাবান ও পানি বা স্যানিটাইজার দিয়ে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধোয়া

৬. অপরিষ্কার হাতে চোখ, মুখ, নাক স্পর্শ না করা

৭. আক্রান্ত ব্যক্তিদের থেকে কমপক্ষে ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখা

সংক্রমণ মোকাবেলায় আবারও চালু হচ্ছে আরটি-পিসিআর ও র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা। কোভিড চিকিৎসার জন্য ওষুধ, অক্সিজেন, হাই-ফ্লো ক্যানুলা, আইসিইউসহ ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলো প্রস্তুত রাখতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য কেএন-৯৫ মাস্ক, পিপিই ও ফেস শিল্ডের মতো ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম নিশ্চিত করার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ভবিষ্যতের ঝুঁকি এড়াতে সরকারের সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে প্রস্তুতি জোরদার করা হয়েছে। বিমানবন্দর ও বন্দরগুলোতে আইএইচআর ডেস্কগুলোকে সক্রিয় রাখা এবং আগত যাত্রীদের ওপর বাড়তি নজরদারির ব্যবস্থাও চালু রয়েছে।

করোনা,স্বাস্থ্য অধিদপ্তর,৭ দফা,নির্দেশনা,ভাইরাস,ভ্যারিয়েন্ট
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত